সিরাজগঞ্জে মনোতোষ হত্যা মামলায় ছয় যুবকের যাবজ্জীবন
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মনোতোষ (৩২) হত্যা মামলার অভিযোগ প্রমাণীত হওয়ায় ছয় যুবককে যাবজ্জীবন কারাণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলো, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার খাস সোনামুখী মধ্যপাড়া গ্রামের সুজন কুমার সরকার, বিশ্বাস বাড়ি গ্রামের রুবেল, সড়াতৈল গ্রামের রায়হান সরদার, বলরামপুর পূর্বপাড়া গ্রামের শিপন, ইউসুফ আলী ও লিটন মণ্ডল। এরমধ্যে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত রায়হান সরদারকে ৩৪ ধারায় আরো ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির গতকাল দুপুরে এ রায় দেন। এ সময় ৫ আসামি উপস্থিত ছিল এবং আসামি সুজন কুমার পলাতক রয়েছে। ওই আদালতের পিপি আব্দুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, আসামি রায়হান সরদার ও শিপন মনোতোষের বাবার স’মিলে কাজ করত। এ সময় রায়হান সরদার মনোতোষের বাবার কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা ধার নেয়। কিছুদিন পর ওই স’মিলটি বন্ধ হয়ে গেলে তারা অন্যত্র কাজ করে। পাওনা টাকার জন্য রায়হান সরদারকে নানা রকম চাপ সৃষ্টি করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়। এ পরিকল্পনায় ২০১৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রায়হান শিপনের বাড়িতে পিকনিকের আয়োজন করে এবং এ অনুষ্ঠানে মনোতোষকে দাওয়াত করে। মনোতোষ সুজনকে সঙ্গে নিয়ে ওইদিন রাতে পিকনিকে অংশগ্রহণ করে। এ পিকনিক খাওয়ার পর আসামিরা মনোতোষকে বেঁধে রেখে তার বাবার কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। একপর্যায়ে তারা মনোতোষকে হুরা সাগর নদীর পাড়ে ইউক্যালিপটাস বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তারা মাদক সেবন করে এবং মনোতোষকে মদের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মদ খাওয়ানো হয়। এতে সে নিস্তেজ হয়ে পড়লে আসামিরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে কচুরিপানা দিয়ে তার মরদেহ ঢেকে রাখে এবং তারা মনোতোষের আত্মীয়স্বজনের ওই মুক্তিপণ দাবি করে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ এ মামলার তদন্ত শেষে আসামিীদর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিী দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।