বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের এক দফা দাবিতে গতকাল রাজধানীতে মহাসমাবেশ করে বিএনপি। নেতাকর্মীদের মুক্তি ও কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে সমাবেশ করে জামায়াতে ইসলামী। এছাড়া বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা প্রায় ৩৭টি দলও সমাবেশ করে রাজধানীতে। এদিকে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের এসব সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল সকাল থেকেই ঢাকা হয়ে উঠে মিছিল ও সমাবেশের নগরী।
আওয়ামী লীগের সমাবেশ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে অনুষ্ঠিত হয় দুপুর ২টায়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্চালনা করেন হুমায়ুন কবির।
বিএনপি মহাসমাবেশ করে নয়াপল্টনে। দুপুর ২টায় শুরু হওয়া এ মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জামায়াতে ইসলামীর মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় দুপুর ২টায় মতিঝিলের আরামবাগে। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। ১২ দলীয় জোটের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় দুপুর ২টায়, বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমাবেশ দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হয় বিজয়নগরের আল-রাজী কমপ্লেক্সের সামনে। এলডিপি কারওয়ান বাজারে এফডিসি-সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিকাল ৩টায় সমাবেশের আয়োজন করে।
গণফোরাম ও পিপলস পার্টি দুপুর ১২টায় মতিঝিলে নটর ডেম কলেজের উল্টো পাশে এবং লেবার পার্টি বিকাল ৪টায় পুরানা পল্টন মোড়ে সমাবেশ করে। গণ-অধিকার পরিষদের সমাবেশ বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড়ে।
এসব সমাবেশকে কেন্দ্র করে সচিবালয় এলাকায় নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা। এছাড়া রাজধানীজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লোকজনকে তল্লাশি চালায়। ঢাকায় যেন কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য এ তল্লাশি চালায় পুলিশ। নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। এদিকে ঢাকার বাইরে থেকে রাজধানীতে প্রবেশ করার সময় জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।