রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের প্রিন্সিপাল আব্দুর রশীদ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হলো- ‘ভালোবাসায় মতিহার দেখা হবে বারবার’ শীর্ষক গুণীজন সম্মাননা। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তনীদের সংগঠন ‘ভালোবাসার মতিহার’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম। তিনি বলেন, সকল স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে মতিহারের অবদান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে রয়েছে। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান থেকে ৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে মতিহারের সবুজ চত্বর।
সংস্কৃতি, সৃজনশীলতা ও গণজাগরণের উর্বরক্ষেত্র মতিহার। এককভাবে কোনো উন্নয়ন হয় না, উন্নয়ন একটি সামষ্টিক ধারণা। ব্যক্তিগত উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন কিংবা রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন সব ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের ভালোবাসার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, যা মতিহার নামে খ্যাত, সেই প্রীতিময় স্মৃতিময় মতিহারের নামকে ধারণ করে এর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের যে সম্মেলনটি হচ্ছে, তা একদিকে ঐক্য-ভাতৃত্ব যেমন তৈরি করছে। অন্যদিকে সামনে অগ্রসর হবার প্রেরণাও সঞ্চার করছে। তিনি আরো বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যালামনাই সংগঠন ভেতরে ভেতরে একটু দুঃখবোধ করে, এই ভেবে যে, আমরা বোধহয় অনেকটা পিছিয়ে পড়েছি। রাবির প্রাক্তনীদের অনেক সংগঠন রয়েছে, আজকে ভালোবাসার মতিহারের এ অনুষ্ঠান থেকে আমি আহ্বান জানাতে চাই, মতিহারের যারা প্রাক্তনী আছি তাদের প্রত্যেকের কাছেই এ আহ্বান, আমাদের যেন একটিমাত্র প্ল্যাটফর্ম থাকে। একটি সংগঠনের মধ্যে দিয়ে সকলে মিলে একসঙ্গে আনন্দ প্রকাশ করতে চাই। মতিহারের সাংস্কৃতিক ধারাকে তুলে ধরতে চাই। বর্তমানে যারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী রয়েছি তাদেরও এর সঙ্গে সংযুক্ত হবার সুযোগ তৈরি করতে হবে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলা একাডেমির সভাপতি এবং রাবির প্রাক্তনী, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি অনুষ্ঠানে যুক্ত হতে পারেননি। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘ভালোবাসার মতিহার’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এক্স স্টুডেন্টস ইউনিটির সভাপতি জিএম মো. শামসুল হুদা। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন। এ অনুষ্ঠানে রাবির শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ প্রাক্তনীগণ উপস্থিত ছিলেন।