সিরাজগঞ্জে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলার পলাতক আসামিদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ মামলার বাদী পক্ষের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ইছামতী গ্রামের সালাউদ্দিন খান বাচ্চুর সঙ্গে একই গ্রামের হায়দার আলীর জমিজমা সংক্রান্ত নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। এরই জের ধরে পূর্ব পরিকল্পনায় গত ১৯ অক্টোবর আলামিন (৩৫) ও তার বন্ধু আলামিন শেখকে (৩৬) কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ব্যাপারে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭ থেকে ৮ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হয়। পুলিশ এ মামলার প্রধান আসামি মেরাজুলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে এবং অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ জোড়া হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আসামি ও পরিবারের কেউ বাড়িতে না থাকার সুযোগে দুর্বৃত্তরা কমপক্ষে ৩০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। এমনকি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গরু, মহিষ ও টিভি, ফ্রিজ, মনিটর, স্বর্ণালঙ্কার, ধান, চাল, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ আসবাবপত্র লুটপাট করা হয় এবং অনেক বাড়ি এখন উজাড়। এ জোড়া খুন ও লুটপাটের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। ক্ষতিগ্রস্তরা আক্ষেপ করে বলছেন, জোড়া খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং আদালতে বিচারও হবে। তবে তাদের লুটপাটের কর্মকাণ্ডের বিচার হবে কি?। অবশ্য বাদী পক্ষের লোকজন এ ঘটনা অস্বীকার করেছে। সম্প্রতি একই ঘটনা নিয়ে নিহত, আহত, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনাও ঘটেছিল। এ বিষয়ে সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, এরমধ্যেই এ হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৫টি গরু ও ৩টি মহিষ এরই মধ্যে উদ্ধার করে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মালিকদের ফেরত দেয়া হয়েছে।
