বিএনপিকে আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি বলে আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে থাকায় বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীরা কোথাও সুবিধা করতে পারছে না। তাই তারা চোরাগুপ্তা হামলা করছে। গতকাল বিকালে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি এখন সর্বহারা পার্টির দিকে যাচ্ছে। আগের দিনে সর্বহারা পার্টি চোরাগুপ্তা হামলাগুলো চালাত। বিএনপিও এখন সে দিকে যাচ্ছে। বিএনপি এখন মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গেছে। হারিয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে। তারা হারিয়ে যাবে।
এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সাপকে বিশ্বাস করা যায় কিন্তু বিএনপি-জামায়াতকে বিশ্বাস করা যায় না। কারণ, ফখরুল বলেছিলেন- তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে। দেশের মানুষ সাক্ষী রয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর তারা কি পৈশাচিকভাবে পুলিশ, দায়িত্বরত সাংবাদিক এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গায়েও হামলা চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিএনপির সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গাড়িতে আগুন দিয়েছে।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের আগুন সন্ত্রাসীদের গুলশানের একটি ফাইভ স্টার হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করেছে। শুধু তাই নয়, উন্নত মানের হাসপাতালগুলোতে বিএনপির অনেক পলাতক নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছে। হাসপাতালগুলোতে কারা রয়েছে? কী জন্য রয়েছে, তা খবর নিতে হবে। বিএনপির যেসব সন্ত্রাসীরা যেখানেই পালিয়ে আছে, পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের ধরিয়ে দিতে হবে।
বিএনপির গণতন্ত্রের ভাষা বুঝে না উল্লেখ করে নানক বলেন, গণতন্ত্র ভেদ করে বিএনপি দেশে অগণতান্ত্রিক একটি সরকার কায়েম করতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ ও আমাদের সেনাপতি শেখ হাসিনাকে কোনো আন্তর্জাতিক মোড়লের বাঁকা চোখ দেখিয়ে লাভ নেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগুলো পরোয়া করেন না।
এ সময় আগামী নির্বাচন পর্যন্ত নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জনসভায় ১০ লাখ লোক জমায়েত করতেই হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে জনসভায় হাজির হতে হবে। মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, সাগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক সাবিনা আক্তার তুহিনসহ মহানগরের নেতারা। এই সময় নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড, থানা ও ইউনিট পর্যায়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, দলীয় নেতাকর্মী এবং কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।