ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বঙ্গবন্ধু টানেলে এক সপ্তাহে আয় ১ কোটি ২১ লাখ টাকা

বঙ্গবন্ধু টানেলে এক সপ্তাহে আয় ১ কোটি ২১ লাখ টাকা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে গত এক সপ্তাহে ৫৪ হাজার ৬৫টি গাড়ি চলাচল করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার ২০০ টাকা। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের টোল ব্যবস্থাপক বেলায়েত হোসেন। তিনি জানান, গত ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ২৯ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধের মধ্যে গাড়ি চলাচল শুরু হয় এই টানেলে। প্রথম দিন রোববার সকাল ৬টা থেকে টানা তিন দিন টানেলে গাড়ি চলাচলে হরতাল-অবরোধের প্রভাব পড়ে। এ কারণে দূরপাল্লার যানবাহন তেমন চলাচল করতে পারেনি। এতে টোল আদায়ও কম হয়। এরপরও ২৯ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সাত দিনে ৫৪ হাজার ৬৫টি গাড়ি টানেল দিয়ে চলাচল করেছে। এ সময় টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার ২০০ টাকা। প্রকল্পের টোল ব্যবস্থাপক বলেন, সাত দিনের মধ্যে গত শুক্রবার সবচেয়ে বেশি গাড়ি পার হয়েছে টানেল দিয়ে। ওই দিন ১৪ হাজার ৭৯৮টি গাড়ি পার হয়েছে। এতে ৩৩ লাখ ৫২ হাজার ১০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে, যা পরিকল্পনার চেয়েও বেশি। এছাড়া গত শনিবার ৭ হাজার ১৯৬টি গাড়ি পার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ১৫ লাখ ৭১ হাজার ৪০০ টাকা। টানেল প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী (অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ) কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস বলেন, শুরু থেকে টানেলের ভেতর দিয়ে দৈনিক ১৭ হাজার যানবাহন চলাচলের টার্গেট রয়েছে, যা গত এক সপ্তাহ সময়ের মধ্যে একদিনও পূরণ হয়নি। তিনি আরো বলেন, টোল আদায়ে প্রতিটি গাড়ি থেকে মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে টোল আদায় সম্পন্ন হয়। টোল আদায়ের জন্য ১২টি বুথ আছে। বর্তমানে ১০টি বুথ চালু করা হয়েছে। এখানে তিনভাবে টোল দেওয়ার সুযোগ আছে। তবে এখন ম্যানুয়ালি টোল আদায় করা হচ্ছে। টানেল পাড়ি দিতে প্রাইভেট কার ও পিকআপ ২০০, মাইক্রোবাস ২৫০, বাস (৩১ সিটের কম) ৩০০, বাস (৩২ সিটের বেশি) ৪০০, বাস (৩ এক্সেল) ৫০০, ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) ৪০০, ট্রাক (৫ দশমিক ১ থেকে ৮ টন) ৫০০, ট্রাক (৮ দশমিক ১ থেকে ১১ টন) ৬০০, ট্রাক ও ট্রেইলার (৩ এক্সেল) ৮০০, ট্রাক ও ট্রেইলার (৪ এক্সেল) ১০০০ টাকা টোল দিতে হয়।

শুরুতে টানেল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা। পরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪২ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ দশমিক ১৯ কোটি টাকা দিচ্ছে। বাকি টাকা দেয় বাংলাদেশ সরকার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত