ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

লেখনীকে দেশ গড়ায় কাজে লাগাতে হবে

বললেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
লেখনীকে দেশ গড়ায় কাজে লাগাতে হবে

লেখনীর মধ্যদিয়ে জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে, আলোড়ন সৃষ্টি করতে হবে। লেখনীকে দেশ গড়ায় কাজে লাগাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি। তিনি বলেন, এদেশে আর কখনো যেন হরতাল, অবরোধের নামে অস্থিরতা সৃষ্টি না হয়, অপরাজনীতি করার সুযোগ কেউ না পায়।

গতকাল সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগারের সংগ্রহ ও উন্নয়ন এবং ওঝইঘ বরাদ্দদান ও ব্যবহার’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নে এদেশের রাজনীতি নিবেদিত হয়। এ বিষয়ে লেখক ও প্রকাশকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। লেখনী ও সৃজনশীলতার মধ্যদিয়ে তাদের জনগণকে প্রভাবিত করতে হবে, সচেতন করতে হবে।

তিনি বলেন, আর্কাইভ হলো লেখক ও প্রকাশকদের অমরত্বের স্থান। কেন না, সেখানে তাদের মূল্যবান সৃষ্টিকর্ম যুগ যুগ ধরে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সংরক্ষিত থাকে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, কপিরাইট আইন ২০২৩ এর ৫৯ ধারা মোতাবেক আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের জাতীয় গ্রন্থাগারে প্রকাশকদের বই সরবরাহের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নতুন প্রজন্মের স্বার্থে ও নিজেদের সৃষ্টিকে অমর করে রাখার লক্ষ্যে তিনি এ সময় লেখক-প্রকাশকদের আইন অনুযায়ী প্রকাশিত বইয়ের একটি কপি আর্কাইভে সংরক্ষণের আহ্বান জানান। আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. খান মো. নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার মো. দাউদ মিয়া, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহনাজ সামাদ ও বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সৃজনশীল সাহিত্য স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক আলমগীর সিকদার লোটন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এসএম আরশাদ ইমাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আব্দুর রশিদ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত