নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন থেকে নদী দখলদারের নাম মুছে দেওয়া এবং নদীর সংখ্যা কমানোর প্রতিবাদ জানিয়ে সব নদী দখলমুক্ত করে দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে নদী ও প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক সংগঠন ‘নোঙর বাংলাদেশ ট্রাস্ট’। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নাগরিক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। বক্তারা বলেন, নদীমাতৃক দেশের নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা অনুসন্ধান না করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গত ২৪ সেপ্টেম্বর ১০০৮টি নদী নির্ধারণ পূর্বক তাড়াহুড়া করে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করে নদ-নদীর অসম্পূর্ণ সংজ্ঞা উপস্থাপন করেছে। অথচ নদীমাতৃক এদেশে আরো ৬০০-এর বেশি নদ-নদীর অস্তিত্ব এখনো রয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি ৩৭ হাজার ৩৯৬ নদী দখলদারের তথ্য মুছে আরো একটি বিতর্ক সৃষ্টি করেছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। তারা বলেন, নদ-নদীর খোঁজে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরজমিনে তথ্য সংগ্রহের কাজ করছি গত ৩০ বছর ধরে। এই কাজে এখন পর্যন্ত যে অভিজ্ঞতা লাভ করেছি তাতে বাংলাদেশে নদ-নদীর সংখ্যার উপরে আলোচিত সব সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাবে। প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক প্রদত্ত নদ-নদীর সংখ্যাটি প্রকৃত সংখ্যার কাছাকাছি বলা না গেলেও তিনি উল্লিখিত গ্রন্থে যে তথ্য দিয়েছেন তার গুরুত্ব অপরিসীম। গত ১২ বছর ধরে বাংলাদেশের উত্তর জনপদের পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নীলফামারী, বগুড়া, রায়পুরহাট, গাইবান্ধা, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, নবাবগঞ্জসহ রাজশাহীতে সরজমিনে কাজ করেছি। কাজ করতে গিয়ে নতুন করে অসংখ্য নাম না জানা নদ-নদীর সন্ধান পাওয়া গেছে, যার সংখ্যা ১৬৮টি। যেগুলো এখন অবধি বাংলাদেশের কোনো গ্রন্থে বা মানচিত্রে স্থান করে নিতে পারেনি। বক্তারা আরো বলেন, এরই মধ্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল, খুলনা বিভাগ এবং বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে নদ-নদীর তালিকা সংগ্রহ করে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেছে। কমিশন চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার ও বান্দরবান থেকে কোনো তথ্য গ্রহণ করেনি। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন প্রকাশিত গ্রন্থের তথ্য এবং অন্যান্য সূত্রের অতিরিক্ত ৩৪৫টি নদ-নদীর নাম পাওয়া গেছে।