প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করলেও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে পহেলা ডিসেম্বর থেকে। আর ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার রেল যোগাযোগ চালু হলে সর্বনিম্ন ভাড়া থাকবে ১৮৮ টাকা। যাত্রী ও পর্যটকরা এই ভাড়ায় কক্সবাজার আসতে পারবেন। রেলসচিব হুমায়ুন কবির বলেন, ১ ডিসেম্বর শুধু আন্তঃনগর ট্রেন চালু হবে। তবে পাশাপাশি কমিউটার ও মেইল ট্রেনও চালু হবে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এই রুটে পর্যটক কোচ চালু করা হবে। শুধু ঢাকা নয়, উত্তর অঞ্চল ও দেশের অন্যান্য অংশ থেকেও কক্সবাজারে রেলপথে আসা যাবে। এতে করে যোগাযোগের নতুন পথ উন্মোচন হবে। তবে ১ ডিসেম্বর থেকে রেল চালু হলেও কক্সবাজারের আইকনিক ঝিনুক স্টেশনে সবরকম সুবিধা পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। পর্যায়ক্রমে এসব সুবিধা চালু করা হবে। বাংলাদেশ রেলের মহাপরিচালক কামরুল আহসান জানান, ঢাকা থেকে যে ট্রেনটি কক্সবাজার আসবে সেটি সকাল সাড়ে ১০টায় ছাড়বে। আর কক্সবাজারে এসে পৌঁছাবে সাড়ে ৬টায়। পর্যায়ক্রমে এই রুটে আরো ট্রেন বাড়ানো হবে। রেলওয়ের বাণিজ্যিক শাখা জানিয়েছে, চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে কক্সবাজারের প্রকৃত দূরত্ব ১৫০ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। তবে রেলওয়ের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ১০০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যরে সেতুর জন্য অতিরিক্ত ভাড়া ও দূরত্ব (পয়েন্ট চার্জ) নির্ধারণ করছে। চট্টগ্রাম- কক্সবাজার রুটে সাতটি সেতুর জন্য বাড়তি ৫৪ কিলোমিটারের ভাড়া আরোপ করা হয়েছে। বাড়তি পয়েন্ট চার্জ যুক্ত করে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে বাণিজ্যিক দূরত্ব ২০৫ কিলোমিটার ধরে ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। এরসঙ্গে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের ৩২১ কিলোমিটারের বাণিজ্যিক দূরত্ব বিবেচনায় ঢাকা-কক্সবাজার পর্যন্ত ভাড়া পুনর্নির্ধারণ হবে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারের সর্বমোট ৫৫১ কিলোমিটার বাণিজ্যিক দূরত্ব ধরে ভাড়া নির্ধারণ করা হচ্ছে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এ পথে নন-এসি অর্থাৎ শোভন চেয়ারে ৫০০ টাকা ও এসি সিটে ৯৫০ টাকা ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে। এসি সিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ ভাড়া হবে ১ হাজার ১০০ টাকা। ভ্যাটসহ এসি কেবিনে ১ হাজার ২০০ ও এসি বার্থে ভাড়া পড়বে ১ হাজার ৭২৫ টাকা। রেল সচিব হুমায়ুন কবির জানান, আমরা আশা করছি ১ ডিসেম্বর থেকেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করতে পারব।