ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি

চাঁদপুরে ৬১০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি

চাঁদপুরে ৬১০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় চাঁদপুর জেলায় ১৯০ হেক্টর আধাপাকা ও পাকা আমন ধান এবং অন্যান্য ৪২০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন শত শত কৃষক। তাদের মাথায় যেন এখন আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। গত শনিবার বিকালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানা যায়। সরেজমিন দেখা যায়, জেলা সদরের বাগাদী ইউনিয়নের ছোবহানপুর, বাগাদী গ্রাম, নানুপুর, বালিয়া ইউনিয়নের সাপদি, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১ নম্বর বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদি রামপুর ও আশপাশের এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, আমন ধানের অধিকাংশ জমির ফসল পানিতে তলিয়ে আছে। ছোবহানপুর ও বাগাদী গ্রামের জমিগুলোয় কৃষক পাকা ধান দুই দিন আগে কেটে জমিতে শুকানোর জন্য রেখেছেন। সেসব জমিতে এখনও হাঁটু সমান পানি। অনেক জমির পাকা ও আধাপাকা ধান বাতাসে নুয়ে পড়েছে। এসব এলাকার খাল ও নালা ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। ছোবহানপুর মাঠে কেটে রাখা ধান পানি থেকে তুলে আনছেন কৃষক মো. হাবিব। তিনি জানান, এ বছর তিনি পৌনে ৩ একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন। অধিকাংশ জমি এখন পানির নিচে। প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন কী করবেন তিনি বুঝতে পারছেন না। বাগাদী মাঠের কৃষক হাবিব বেপারী ও এবাদ শেখ জানান, তাদের পুরো মাঠের অধিকাংশ জমির ধান হাঁটু সমান পানির নিচে রয়েছে। অনেকেই ধান কেটে শুকানোর জন্য দুই-তিন দিন আগে রেখেছেন। চিন্তাও করতে পারেননি ঘূর্ণিঝড়ে এমন ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তারা। ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের কৃষক ছিদ্দিকুর রহমান জানান, সকদিরামপুর মাঠে তার দেড় একর জমিতে বিআর-৪৯, বিনা-৭ ও ১৭ ধানের আবাদ করেছেন। আগে কেটে রাখা ধান শ্রমিক নিয়ে তুলছেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত