সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গতকাল রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম।
গত ১৫ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে দ্বিতীয় দিনের মতো সাফাই সাক্ষী দেন মির্জা আব্বাস। এরপর তাকে জেরা করে দুদক। এরপর আদালত মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। এ মামলায় মির্জা আব্বাসসহ পাঁচজন সাফাই সাক্ষী দেন। অন্য চারজন হলেন- অ্যাডভোকেট একেএম শাহজাহান ও এনআরবি ব্যাংকের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট নুরুল হোসেন খান, শাহজাহান মিয়া ও কাজী শিফাউর রহমান হিমেল।
এর আগে ৫ নভেম্বর এ মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখান আদালত। ওইদিন মামলাটির যুক্তিতর্ক থেকে ফিরিয়ে সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আবেদন করেন আব্বাসের আইনজীবী। আবেদনের পর আদালত সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. শফিউল আলম। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার বিচার চলাকালীন আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।