ভুয়া ও অবৈধ দল বিএনপি
বললেন শেখ পরশ
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপিকে একটি ভুয়া এবং অবৈধ দল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান স্বঘোষিত জেনারেল। জিয়াউর রহমান মিলিটারি অ্যাক্ট ভঙ্গ করে খুন, হত্যা, ক্যু ইত্যাদির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছে। গতকাল দুপুরে মিরপুর-১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অবস্থান কর্মসূচিতে শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বিএনপি একটি অবৈধ সংগঠন। বিএনপিকে আমরা অবৈধ দল এ কারণে বলি, কারণ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান স্বঘোষিত জেনারেল। জিয়াউর রহমান মিলিটারি অ্যাক্ট ভঙ্গ করে খুন, হত্যা, ক্যু ইত্যাদির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। তিনি আরো বলেন, যেখানে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে মিলিটারি অ্যাক্ট অনুযায়ী কোনো সেনাপ্রধান চাকরিরত অবস্থায় রাজনীতি করতে পারবে না। অথচ এই জিয়াউর রহমান সেই মিলিটারি অ্যাক্ট ভঙ্গ করে শুধু রাজনীতি না, হত্যা, ক্যু এবং কর্নেল তাহেরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ক্ষমতা দখল করে এবং মিলিটারি অ্যাক্টে এও বলা হয়েছে সেনাপ্রধান রাজনীতি করতে পারবে না। কিন্তু সে হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে সকল হ্যাঁ ভোট দিয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে। ভুয়া এবং অবৈধ রাষ্ট্রপতি। ওই অবৈধ ভুয়া রাষ্ট্রপতির হাতে গড়া দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। পরশ বলেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে আজকে এ অবৈধ দল বিএনপি হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দিচ্ছে। কিন্তু এ অবরোধের মধ্যেও রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম। কারণ জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার কোনো প্রতিফলন নেই। জনগণের সঙ্গে ভুয়া এবং ধোকাবাজি করে তারা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব উপভোগ করত, এনজয় করত। তারা তিন তিনবার ক্ষমতায় এসে ক্ষমতা এনজয় করেছে। তিনি আরো বলেন, যেটা ওদের কাছে ক্ষমতা সেটা আমাদের কাছে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। আমরা এই দায়িত্বটাকে পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে আজকে এই বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষকে সারা বিশ্বে সম্মানিত করেছে। মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। বিএনপির হরতাল এবং অবরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের পরিকল্পনা ছিল দুইটি। একটা হচ্ছে কোনোভাবে কোনো অনির্বাচিত সরকারকে গদিতে বসানো যায় কিনা। আর দ্বিতীয় উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে কোনোভাবে বানচাল করা যায় কি না। বাংলাদেশের মানুষ যখন নির্বাচনমুখী তখন তাদের এই উদ্দেশ্য এ দেশের যুবসমাজ প্রতিহত করেছে রাজপথে অবস্থান করার মাধ্যমে। যুবসমাজ এদের ঘরে তুলে দিচ্ছে। এরা এখন ইন্দুরের গর্তে লুকিয়েছে। শেখ পরশ বলেন, এখন তাদের আরেকটা উদ্দেশ্য আসছে যেকোনোভাবে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করা। এখন নির্বাচন হবে এটা বোঝা যাচ্ছে। এখন জনগণ নির্বাচনমুখী। এখন নির্বাচনকে কীভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় সেই ষড়যন্ত্রে তারা লিপ্ত। এ ক্ষেত্রে আমাদের যুবসমাজকে সচেতন এবং সজাগ থাকতে হবে। রাজনীতিতে কিন্তু তারা মাস্টার।