জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত কর্মশালায় ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ভোক্তাদের এই বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করা দরকার যে, বেশি দামে কোনো পণ্য ক্রয় করলেও সেটা গুণগত মানসম্মত নাও হতে পারে। গতকাল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও সাজগোজ লিঃ-এর কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বিষয়ক এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সফল হতে হলে প্রয়োজন ভোক্তাদের সচেতনতা ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হিসেবে অধিদপ্তরের যুগোপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ও ভোক্তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছে। অধিদপ্তরের নিজস্ব ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করা এই পদক্ষেপেরই প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সহজে স্বল্প সময়ে অধিকসংখ্যক ভোক্তাকে সচেতন করা যাচ্ছে। মহাপরিচালক বলেন, অধিদপ্তরের সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং ডিপাটমেন্টের সঙ্গে অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে মাস্টার্স অব প্রোফেশনাল প্রোগ্রাম চালুকরণ ও বর্ণিত প্রোগ্রামসহ মার্কেটিং বিভাগের কারিকুলামে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে। তিনি জানান, যেকোনো তথ্যর জন্য অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর ১৬১২১ এ ফোন করে ভোক্তাগণ তথ্য জানতে পারছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষত সয়াবিন তেল ও চিনির মূল্য (যা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঠিক করে দেয়) স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে অধিদপ্তর কর্তৃক রিফাইনারি থেকে পরিবেশক পর্যায় পর্যন্ত তেল ও চিনির মজুত পরিস্থিতি জানার লক্ষ্যে একটি অ্যাপস তৈরির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।