পৃথিবীর সকল মানুষ হিংসা বর্জন করে পারস্পরিক ভেদাভেদ ভুলে সংঘাত ও কলহমুক্ত উৎসবমুখর পরিবেশে অন্তত একটা দিন অতিবাহিত করলে সম্পর্ক উন্নয়ন ও বন্ধুত্ব স্থাপনে পৃথিবীতে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের যুুগের আগমন ঘটবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ আয়োজিত ‘হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস’ উদযাপন অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের সভাপতি এফ. আহমেদ খান রাজীব। এ সময় বন্ধু সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘মানুষের মাঝে বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টি করাই হচ্ছে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের মূল লক্ষ্য’ এমন মন্তব্য করে রাজীব খান বলেন, হিংসা-বিদ্বেষ-অহংকার পরিত্যাগ করে ভ্রাতৃত্ব-বন্ধুত্ব-সৌহার্দের মিশ্রণে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ গড়তে পারলেই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। এ সময় তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিময় পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে দেশবরেণ্য মহোদয়গণের সম্পৃক্ততার মাধ্য দেশবাসীকে বন্ধুত্বের আহ্বান জানান। বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের সভাপতি বলেন, সকল পর্যায়ের বিরোধ নিষ্পত্তিতে ও সব অশান্তিপূর্ণ পরিবেশকে শান্তিময় করতে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজকে সাংবিধানিক বৈধতায় জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করলে এই দেশটি অতিদ্রুত শান্তি, সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ হিসেবে পৃথিবীর মডেল সৃষ্টি হবে। এ সময় তিনি ২৩ নভেম্বর ‘হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস’ দিবসটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে উদযাপনের আহ্বান জানান। রাজীব খান বলেন, বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের পক্ষ থেকে দেশের বিপদগামী মানুষকে সকল প্রকার অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিহার করে সুপথে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের পক্ষ্যে ২০২০ সালে প্রথম ৩১ ডিসেম্বর ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’ পালন করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় আগামী ৩১ ডিসেম্বর ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’-এ ভালো কর্মের জন্য দেশবরেণ্য ৫০ জন ব্যক্তিকে কৃতজ্ঞতা সম্মাননা পদক উপহার দেওয়ার প্রত্যাশা করছি।