জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সদ্য প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের স্মরণে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের আয়োজনে বিভাগের সেমিনার কক্ষে এই স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণসভায় বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আসমা বিনতে ইকবাল স্মৃতিচারণ করে বলেন, উপাচার্য মহোদয়ের সবচেয়ে ভালো গুণ ছিল তিনি কোনো কিছু লুকাতেন না। তিনি অকপটে মনের সব কথা বলে দিতেন। এতে সহজেই সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক হয়ে যেত। সবাইকে সাথে নিয়ে সততার সাথে কাজ করতেন। লোক প্রশাসন বিভাগের সমস্যাগুলো সমাধানে, এর উন্নয়নে তিনি অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শামীমা আক্তার স্মৃতিচারণ করে বলেন স্যারের দরজা সবসময় সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। তিনি ছাত্র-শিক্ষক সবার কথা শুনতেন। যে কেউ কোনো সমস্যা নিয়ে গেলে তিনি তা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। তিনি সবসময় বলতেন ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার জন্যই আমার দরজা উন্মুক্ত। আমার কাছে আসতে কারোর কোনো বাধা নেই। সহকারী অধ্যাপক নুমান মাহফুজ স্মৃতিচারণ করে বলেন, উপাচার্য স্যার দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে স্যারের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তখন থেকেই তিনি সবাইকে যেভাবে কাছে টেনে নিয়েছিলেন, আপন করে নিয়েছিলেন তা অতুলনীয়। তিনি অত্যন্ত সততার সাথে তাঁর দায়িত্ব পালন করে গেছেন। আমরা সবা তাঁর জন্য দোয়া করবো। লোক প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক মাহাবুবুল আলম হাদীর সঞ্চালনায় স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বাপ্পী, সহকারী অধ্যাপক রিফাত ফারহানা, সহকারী অধ্যাপক দেওয়ান নুসরাত জাহান, সহকারী অধ্যাপক আয়শা জাহান, সুবাহ্ সামারা, প্রভাষক ওয়ারেফতা রহমানসহ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। স্মরণসভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম ও খতিব মো. ছালাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। গত ১১ নভেম্বর সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
