ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পুলিশের এসআইয়ের বিরুদ্ধে ফেনসিডিল আত্মসাতের অভিযোগ

পুলিশের এসআইয়ের বিরুদ্ধে ফেনসিডিল আত্মসাতের অভিযোগ

যশোর শহরতলীর পুলেরহাট তপসীডাঙ্গা থেকে আটককৃত দুই বিক্রেতাসহ ৩০০ বোতল ফেনসিডিলের ২৪৮ বোতলই হজম করে ফেলেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। দুই আসামিসহ বাকি ৫২ বোতল জমা দিয়েছে। ফেনসিডিল ও আসামি আটকের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র ও আসামিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২২ নভেম্বর রাতে মোবাইল-১১ ডিউটি ছিল কোতোয়ালি থানার এসআই ইয়াসিফ আকবর জয়ের। ওই দিন ভোরে মুড়লি মোড়ে তিনি টহলে যান। টহলরত অবস্থায় সোর্সের মাধ্যমে খবর পান বেনাপোল থেকে ৩০০ বোতল ফেনসিডিলের একটি চালান প্রাইভেট কারে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে- এ খবরের ভিত্তিতে ইয়াসিফ আকবর জয় কিছু সময় মুড়লি মোড়ে অবস্থান করেন। এরপর তিনি মুড়লি মোড় থেকে সামনে পশ্চিম দিকে এগিয়ে পুলেরহাটে যান। সেখানে তিনি মিঠুর স’ মিলের সামনে থেকে বেনাপোল থেকে আসা একটি প্রাইভেট কার দাঁড় করান। এরপর তল্লাশি করে প্রাইভেট কার থেকে ৩০০ বোতল ফেনসিডিলসহ প্রবীর কুমার চক্রবর্তী ও প্রাইভেট কারচালক মাহাবুবুর রহমানকে আটক করেন। আটক প্রবীর নরেন্দ্রপুর গ্রামের বর্তমানে রেলগেট তেতুলতলা এলাকার দুর্গাপ্রসাদ চক্রবর্তীর ছেলে। মাহাবুবুর রহমানের বাড়ি সদরের ফরিদপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। কোতোয়ালি থানার এসআই ইয়াসিফ আকবর জয় ৩০০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুইজনকে আটকের পর কোতোয়ালি থানায় খবর দেন। এ খবর পেয়ে থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু তার আগেই এসআই ইয়াসিফ আকবর জয় ২৪৮ বোতল ফেনসিডিল আত্মসাত করেন। স্থানীয়, বেনাপোলের ফেনসিডিল বিক্রেতা ও আসামিদের সূত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার এসআই ইয়াসিফ আকবর জয়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ফেনসিডিল আত্মসাতের কথা অস্বীকার করে বলেন, আসামিসহ ফেনসিডিল আটকের পর কোতোয়ালি থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসার পর আসামিদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রগুলো জানায়, প্রবীর বেনাপোলের শিবনাথপুরের ইদ্রিস আলীর ছেলে ঘেনার কাছ থেকে ২২ নভেম্বর ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ৩০০ বোতল ফেনসিডিল ক্রয় করে। এরপর মাহাবুবের প্রাইভেট কার ভাড়া করে ফেনসিডিল নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা রানার কাছে এই ফেনসিডিল বিক্রি করবে। ঢাকার বংশালে মোটরসাইকেলের একটি শো রয়েছে রানার। প্রবীর প্রাইভেট কারে সেখানে ফেনসিডিলগুলো নিয়ে যাচ্ছিল। এর আগেও একটি ফেনসিডিলের চালান প্রবীর রানার কাছে নিয়ে বিক্রি করে। এটা ছিল তার দ্বিতীয় চালান। দ্বিতীয় চালান নিয়ে যাওয়ার সময় প্রবীর পুলিশের হাতে আটক হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত