রাজধানীতে অনলাইন প্রতারণা চক্রের সদস্য আটক

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

অনলাইন প্রতারণা চক্রের এক সক্রিয় সদস্যকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর ও উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩৮টি মোবাইল ফোন, ৫টি ল্যাপটপ ও ৩৬টি সিম কার্ডসহ অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়েছে।

এটিইউ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এটিইউ’র একটি দল গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোহাম্মদপুর থানার সাতমসজিদ হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনার পর এটিইউ’র অপর একটি দল উত্তরা পশ্চিম থানার সেক্টর-১২ রোড-১২ বাসা-৩৩ গতকাল শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত উত্তরায় বিদেশি নাগরিকের বাসাসহ রাতভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নামণ্ড রবিউল ইসলাম (৩০) মাগুরা জেলার মাগুরা সদর থানার হাজরাপুর গ্রামের জড়োন মোল্লার পুত্র। গ্রেপ্তারকালে তার কাছ থেকে ১টি ল্যাপটপ, ৩টি মোবাইল ও বিভিন্ন অপারেটরের ১২টি সিম, পাসপোর্ট, ব্যাংক কার্ড, এনআইডিসহ ব্যাংকের চেক বই জব্দ করা হয়।

গতকাল সকালে এটিইউ’র সিনিয়র এএসপি ও সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ওয়াহিদা পারভীন এসব তথ্য জানান। তিনি আলো জানান, সম্প্রতি অ্যান্টি টেররিজমের ‘ইনফর্ম এটিইউ’ অ্যাপে এমন একটি কেনাকাটার অ্যাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এক ভুক্তভোগী। পরে অভিযোগকারীর ইনফর্ম এটিইউ অ্যাপে দেয়া তথ্য মতে, তিনি কিছু দিন আগে অনলাইনে অ্যানি অ্যামাজন অ্যাপস নামক সাইটে দেখতে পান অনলাইন অ্যাকাউন্ট করে তাদের থেকে পণ্য কিনে অনলাইনে তাদের স্টোরে রেখে দিলে গ্রাহককে কমিশন দিবে। তিনি সরল বিশ্বাসে ওই অ্যাপ পরিচালনাকারী সদস্য পরিচয়দানকারী ব্যক্তিদের কথার উপর বিশ্বাস স্থাপন করে ব্যবসায়িক মুনাফার আশায় বিকাশ ও রকেট এর মাধ্যমে মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ হিসেবে প্রেরণ করেন। এএসপি ওয়াহিদা পারভীন জানান, উল্লেখিত টাকা ক্যাশ আউট করে আসামি রবিউল ইসলাম গ্রহণ করে; কিন্তু তার এই বিনিয়োগকৃত ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার সমপরিমাণ মালামাল না দিয়ে অ্যানি অ্যামাজন অ্যাপ নামে পরিচালিত সংঘবদ্ধ প্রতারণা চক্রের সদস্যরা ভাগাভাগি করে নেয়। পরে আসামি রবিউল ইসলামের অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এটিইউ পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, আসামি রবিউলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তীতে অনলাইনে চাকরি নামে প্রতারণা, বেটিং সাইটের লোন প্রজেক্টসহ বিভিন্ন অনলাইন প্রতারণার হোতা চীনা নাগরিক লি জিয়াংকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে উত্তরার এক বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়; কিন্তু পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।