কেউই চায় না অনেক প্রতিক্ষার পর পাওয়া ছুটি বিমানবন্দরে অপচয় করতে। এটা কেউ উপভোগও করে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এই দুর্ভোগ ২০২৪ সালেও অনেক পর্যটককে সহ্য করতে হবে। মানুষের মাঝে ফের বিশ্ব ভ্রমণের ক্ষুধা ফিরে এসেছে। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে ভ্রমণকারীদের সংখ্যা প্রায় করোনা মহামারির আগের লেবেলের কাছাকাছি যাবে। অর্থাৎ, ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত হবে, যা ২০২২ সালের ৬৩ শতাংশের থেকে অনেক বেশি। এই পরিসংখ্যানে স্পষ্টভাবেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে করোনা মহামারির পর পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। একই সঙ্গে প্রত্যাশার চেয়েও বেড়েছে বিজনেস ট্রাভেলের সংখ্যা। গ্লোবাল বিজনেস ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের ধারণা, ২০২৪ সালে এই সংখ্যা করোনা মহামারির আগের লেবেলে চলে যাবে। কিন্তু এয়ারলাইনসগুলো তাদের সক্ষমতা কতটা বাড়াতে পেরেছে তা স্পষ্ট নয়। করোনা মহামারিকালে গণকর্মী ছাঁটাইয়ের পুনরুদ্ধার কার্যক্রম এখনো চলছে। ফ্লাইটের সরবরাহের চেয়ে বর্তমানে চাহিদা বেশি। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাচ্ছে মূল্য। চাপের মধ্যে ফ্লাইট অপারেশন বাকলিং হচ্ছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইট বিলম্বের হার ক্রমেই বাড়ছে।
এছাড়া ২০২৪ সালের সমস্যা শুধু ফ্লাইটকে কেন্দ্র করেই হবে না। বিশ্বজুড়েই শহরগুলো স্বল্প মেয়াদি ভাড়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে একটি আইন কার্যকর করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে হোস্টদের শহরের সঙ্গে নিবন্ধন করতে হবে ও অতিথি থাকার সময় উপস্থিত থাকতে হবে। একইভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বার্লিন, প্যারিস ও রোম। এতে মিউনিসিপাল সরকারগুলো মনে করছে, স্থানীয়দের ওপর ভাড়া ও বাড়ির মূল্যের ওপর চাপ কমাবে। ভ্রমণকারীদের যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে তা হলো কম অপশন, বেশি ভাড়া। বিশ্ব ভ্রমণ ও পর্যটন পরিষদ এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চীনের বিদেশগামী পর্যটকদের ব্যয় ২০২৪ সালে ২০১৯ সালের লেবেলে প্রায় নয়-দশমাংশে পৌঁছাবে। তবে চীনের ধীর গতির অর্থনীতি পুনরুদ্ধার কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে পারে।