ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চাঁদপুরে শাশুড়ি-স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

চাঁদপুরে শাশুড়ি-স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গৃদকালিন্দিয়ায় এলাকায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সন্দেহকে কেন্দ্র করে স্ত্রী তানজিনা আক্তার রিতু ও শাশুড়ি পারভীন বেগমকে হত্যার দায়ে রিতুর স্বামী মো. আল মামুন মোহনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। গতকাল দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শাহেদুল করিম এই রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মামুন লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগর গ্রামের মিয়াজান বেপারী বাড়ির মৃত মনতাজ মাস্টারের ছেলে। হত্যার শিকার তানজিনা আক্তার রিতু ও পারভীন বেগম চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকার প্রবাসী মো. সেলিম খানের মেয়ে ও স্ত্রী। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর মামুন ও রিতুর বিয়ে হয়। মামুনের বাড়িতে ঘর না থাকায় রিতু বাবার বাড়িতে থাকতেন। এরই মধ্যে মামুন বিদেশে চলে যায়। সেখানে কাজ না পেয়ে দেড় বছর পরে ফিরে আসেন দেশে। এরই মধ্যে নানা কারণে সন্দেহ সৃষ্টি হয় মামুন ও রিতুর মধ্যে। এরপর ২০২০ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়ায় এলাকায় সেলিম খানের তিন তলা ভবনের নিচতলায় সামনে ইফতারের সময় স্ত্রী ও শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন মামুন। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। ছুরিকাঘাত করার পর রিতু ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং তার মা পারভীন বেগম ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনায় রিতুর চাচা মো. লিয়াকত খান ফরিদগঞ্জ থানায় মামুনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন তৎকালীন সময়ের ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শহীদ হোসেন। তিনি তদন্ত শেষে ওই বছর ২৯ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভূঁইয়া।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত