দক্ষিণ আফ্রিকায় প্ল্যাটিনাম খনিতে দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের সবাই শ্রমিক। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৭৫ জন। মূলত শ্রমিকদের ভূপৃষ্ঠে ফিরিয়ে আনার কাজে ব্যবহৃত একটি লিফট প্রায় ২০০ মিটার (৬৫৬ মিটার) নিচে পড়ে যাওয়ার পর এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাকবলিত খনির পরিচালনাকারী সংস্থার বরাত দিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আলজাজিরা।
এছাড়া ইমপালা প্ল্যাটিনামের প্রধান নির্বাহী নিকো মুলার এই দুর্ঘটনাকে কোম্পানির ইতিহাসে ‘অন্ধকারতম দিন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইমপালা প্ল্যাটিনাম বলেছে, গত সোমবার শেষ বিকালে জোহানেসবার্গের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত রাস্টেনবার্গের খনিতে ‘গুরুতর দুর্ঘটনা’ ঘটে। গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইমপ্ল্যাটস সিইও নিকো মুলার বলেন, ‘এই বিধ্বংসী দুর্ঘটনায় নিহত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য আমাদের হৃদয় ব্যথিত। আমাদের সহকর্মীদের হারিয়ে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত এবং দুঃখিত।’ বিবিসি বলেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বের গভীরতম খনি রয়েছে। আফ্রিকার এই দেশটি প্ল্যাটিনাম, সোনা এবং অন্যান্য কাঁচামালের নেতৃস্থানীয় উৎপাদক। কিন্তু দেশটির খনিতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ রয়েছে। যদিও ১৯৯৪ সালে শ্বেতাঙ্গ-সংখ্যালঘু শাসন শেষ হওয়ার পর খনির পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। সর্বশেষ এই দুর্ঘটনার পর এই বছর দক্ষিণ আফ্রিকার খনিতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ জনে। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার খনিজ সম্পদ মন্ত্রী গুয়েদে মানতাশে দুর্ঘটনাকবলিত খনি পরিদর্শন করেছেন। তিনি এই দুর্ঘটনাকে একটি বিপর্যয় হিসাবে বর্ণনা করে বলেছেন, সেখানে কী ঘটেছে তা জানার জন্য পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে। ইমপালা প্ল্যাটিনাম বলেছে, দুর্ঘটনার পর খনিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। কোম্পানির মুখপাত্র জোহান থেরন বিবিসিকে বলেছেন, বেঁচে থাকা ৭৫ জন খনি শ্রমিকের সবাই ‘কিছু মাত্রায় আহত’ হয়েছেন এবং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কয়েকজনের ‘খুব গুরুতর’ আঘাত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর এবং একজনকে ‘নিবিড় পরিচর্যার’ জন্য জোহানেসবার্গে এয়ারলিফট করা হয়েছে।