রাজশাহীতে আইটেক দিবস উদযাপন
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহীতে থাকা ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের উদ্যোগে কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা (আইটেক) দিবস উদযাপন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে মহানগরের একটি অভিজাত হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র দাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটনের পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. বিধান চন্দ্র দাস বলেন, ভারত আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। আমি জেনে সন্তুষ্ট যে, ৫০০০-এর বেশি পেশাজীবী, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সরকারি কর্মচারী ভারতে প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়েছেন। এতে তাদের নিজেদের দক্ষতা বেড়েছে।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে খুবই চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়া সমতা, বিশ্বাস ও সার্বভৌমত্বের সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে; ভবিষ্যতেও থাকবে। অনুষ্ঠানে ভারতের সরকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বলেন, বাংলাদেশ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র। একই সঙ্গে ভারতের উন্নয়ন সহযোগী। দুই দেশের মধ্যে ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐহিত্যের পাস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে দু’দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এ সময় সহকারী হাইকমিশনার সুবর্ণজয়ন্তী স্কলারশিপের অধীনে প্রতি বছর বাংলাদেশ আইটিইসি-এর জন্য ৫০০টি ‘ডেডিকেটে স্লট’ পাওয়ার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। সেইসঙ্গে বেসামরিক কর্মচারী ও বেসরকারি উদ্যোগের জন্য বেশ কিছু টেইলর-মেড প্রোগ্রাম রয়েছে, যা বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজন অনুসারে হচ্ছে বলেও জানান।
এদিকে আইটেক-২০২৩ দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথিদের পাশাপাশি আইটেক অ্যালামনাইরা উপস্থিত ছিলেন। অ্যালামনাইদের মধ্যে কয়েকজন ভারতে তাদের প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন। পরে সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
১৯৬৪ সালে ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা কৌশল কাঠামোর আওতায় ভারতের উন্নয়ন সহযোগিতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আইটেক কর্মসূচি প্রচলিত হয়। এর মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ভারতের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা এবং যথাযথ প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রদান করা হয়। প্রতিবছর হিসাব, নিরীক্ষা, ব্যবস্থাপনা, এসএমই, গ্রামীণ উন্নয়ন ও সংসদীয় বিষয়গুলোর মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ পর্বের আয়োজন করা হয়।