গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেই জেরুজালেমে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় তিন ইসরাইলি নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে।
সকাল পৌনে ৮টার সময় জেরুজালেমের জনাকীর্ণ এক বাসস্টপে অস্ত্রধারী দুই ব্যক্তি হামলা চালায়। এ সময় আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ইসরাইলি পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, সকালবেলার কর্মব্যস্ত সময়ে একটি গাড়িতে চেপে দুই অস্ত্রধারী ঘটনাস্থলে আসে এবং অপেক্ষমাণ যাত্রীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হন এবং আহত হন আরো আটজন। তারা সবাই ইসরাইলের নাগরিক। পরে হাসপাতালে আরো একজনের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ইসরাইলের ডানপন্থি নেতা বেন গাভির বলেন, আপাতদৃষ্টিতে হামলাকারীদের হামাসের সদস্যই মনে হচ্ছে। তারা মুখে যুদ্ধবিরতির কথা বললেও আরেক সুরে থাকে সন্ত্রাস। এর আগে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি এক বিবৃতিতে বলেন, ফিলিস্তিন ও ইসরাইল উভয়পক্ষ আগের শর্ত মেনে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরো একদিন বাড়াতে সম্মত হয়েছে। এ সময়ে গাজায় আগের মতো করে মানবিক ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে। এসব আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী দেশ হলো কাতার।
এর আগে গতকাল সকালে শেষ ধাপে আরো ৩০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরাইল। ওই সময়ে ইসরাইলি প্রিজন সার্ভিস জানায়, বন্দিদের মধ্যে সবশেষ দলকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর আগে পঞ্চম ধাপে ১২ বন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস। জবাবে এ সময় আরো ৩০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনে হামলা শুরু করে ইসরাইল। টানা দেড় মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলের এ হামলায় প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী ও শিশু। অন্যদিকে ইসরাইলের নিহত হয়েছেন ১ হাজার ২০০ জন।