এডিস মশার পর এবার রাজধানীতে বাড়ছে কিউলেক্স মশা। দিন কিংবা রাত, ঘরে কিংবা বাইরে, বাসা কিংবা অফিস, সব জায়গায় এখন মশার উপদ্রব। শীত আসতে না আসতে কিউলেক্স মাশার উপদ্রবে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। ভোগান্তি লাঘবে তাই কিউলেক্স মশা নিধনে নতুন করে মাঠে নেমেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির আওতাধীন সব খালের কচুরিপানা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেছে সংস্থাটি। গতকাল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মুখপাত্র মকবুল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন সব খালেই কচুরিপানা পরিষ্কারে কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি। এরই ধারাবাহিকতায় ডিএনসিসির ১০টি আঞ্চলের আওতাধীন যেসব খাল রয়েছে সেগুলোতে জমে থাকা কচুরিপানা পরিষ্কার কার্যক্রম আমাদের চলছে। মশক নিধন কর্মীদের পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা মিলে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রতিটি অঞ্চল থেকেই এ কার্যক্রম পুরোপুরিভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। সেখানে মশার ওষুধ বাবদ ৪০ কোটি টাকা, কচুরিপানা, আগাছা পরিষ্কার ও পরিচর্যায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। ফগার, হুইল, স্প্রে মেশিন পরিবহনে ৪ কোটি টাকা, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের বিশেষ কর্মসূচিতে ১ কোটি টাকা, আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ২৫ কোটি টাকা এবং মশক নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযানে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখে ডিএনসিসি। সবমিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মশা মারতে ৭৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল।