ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নিউইয়র্কপ্রবাসী লেখক আবেদ চৌধুরীর তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

নিউইয়র্কপ্রবাসী লেখক আবেদ চৌধুরীর তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

নিউইয়র্ক প্রবাসী লেখক ও প্রকাশক মোসাদ্দেক আবেদ চৌধুরীর তিনটি বই- ‘নিউইয়র্ক থেকে বলছি’, ‘নীলার ভালোবাসা’ ও ‘লেটার টু দ্যা ডটার’ একসাথে বইগুলোর মোড়ক উন্মোচন হলো গতকাল গুলশানের ফ্লাম্বি রেস্টুরেন্টে। অনুষ্ঠানে সমবেত হয়েছিলেন লেখক, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বিশিষ্টজনরা। লেখকের বাবার নামে গড়া ‘আবদুল হান্নান চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ’ প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ উপলক্ষ্যে আবেদ চৌধুরী নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে আসেন। স্মৃতি পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম সাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সচিব দীলিপ কুমার বনিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিচারপতি ফরিদ আহমেদ।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম এফসিএমএ’র পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন প্রফেসর লুৎফর রহমান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আলী মামুদ, সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তরের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহাবুদ্দিন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ শহিদুল্লাহ, মেজর (অব.) মোহাম্মদ নূরুল আমিন পাটওয়ারী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহকারী মহাসচিব নাসির আল মামুন ও স্মৃতি পরিষদের জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ মাহতাব উদ্দিন আল মামুন। সুন্দর একটি উৎসবমুখর আনন্দ নিয়ে আনুষ্ঠানিক সম্পন্ন হয়। তা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, লেখককে নিয়ে তাদের উৎসাহ কতটুকু। লেখকের পুরোনো কালের স্কুলের বন্ধুরা একত্রিত হয়ে আনন্দে আবেগে আনুষ্ঠানস্থল প্রাণবন্ত করেন। এ ছিল লেখকের জন্য স্মরণকালের একটি দিন, যা বড়ই অমূল্য।

লেখক আবেদ চৌধুরীর তিন গ্রন্থমালা নিয়ে আলোচনায় বলা হয়- ‘নিউইয়র্ক থেকে বলছি’ ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপট নিয়ে লেখা গল্পগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এ বইতে, যা বড়ই অমূল্য। এই বইটি পড়া পাঠকের প্রয়োজন রয়েছে। গল্পগুলো লিখতে গিয়ে কখনো সমাজের রূপ বাস্তবতা; আবার সমাজে ঘটে যাওয়া নিষ্ঠুর ঘটনাও উঠে এসেছে।

আলোচনায় বলা হয়, ‘নীলার ভালোবাসা’ বইটি একটি বাস্তব ধর্মী উপন্যাস, যা পাঠকদের মন কেড়ে নেবে অনায়াসেই। এর মধ্যে আছে গভীর প্রেম; কখনো বিরহ। আছে পরা বাস্তব ভালোবাসা। এই বইটি লিখতে গিয়ে অনেকটা অলিক কল্পনার আশ্রয় নিয়েছেন লেখক। গল্পের বিষয়ের ভিন্নতাই বইটির সৌন্দর্য। বইটি পাঠ করতে গিয়ে পাঠক এক মলাটে বিচিত্র্য স্বাদ পাবেন বলে বক্তারা অনুষ্ঠানে বলেন।

লেখকের ‘লেটার টু দ্যা ডটার’ বই সম্পর্কে বলা হয়- এ যাবতকালের একটি সেরা বই তিনি প্রকাশ করেছেন, যা নতুন প্রজন্মের কাছে মেডিসিনের মতো কাজ করবে। সত্যিকারের মানুষ হতে কী লাগে, তা বইটিতে দেয়া আছে। জীবন গড়তে কী লাগে এতে পাঠকরা তা খুঁজে পাবেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে বাংলাদেশের একটি মেয়ে স্কলারশিপ পেয়ে ইউএস নেভিতে চলে গেছে, এ একটি ব্যতিক্রম উদাহরণ।

এমন গর্ব করার মতা মেয়েটিকে নিয়ে লেখা বইটি পড়া সবার প্রয়োজন, যা নুতুন প্রজন্মের কাজে লাগবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত