রংপুরে কারমাইকেল কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বায়না সূত্রে কেনা জমির মালিকের খাবার হোটেল ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে জমির মালিকানা দাবি করা পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি এবং ভীতি প্রদর্শনেরও অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পরিবারটি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে রংপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মাহমুদা বেগম। এসময় তারতার ছেলে মামুন মিয়া, ছেলের বউ লাইজু বেগম এবং আত্মীয় সুলতানা বেগম উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগকারী মাহমুদা বেগম রংপুর মহানগরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের লালবাগ (চকিহাটি) এলাকার মৃত জমির উদ্দিনের স্ত্রী। লিখিত বক্তব্যে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ১৯৯৭ সালে জনৈক সৌরেন্দ্রনাথ চন্দ্রের কাছ হতে তিন শতক জমি ক্রয়ের উদ্দেশ্য বায়না করেন। বায়নাপত্র সম্পাদন করার কিছুদিন পর জমি বিক্রেতা সৌরেন্দ্রনাথ চন্দ্র মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার কোনো ওয়ারিশ না থাকায় বায়নাকৃত ওই জমিতে একটি খাবার হোটেল স্থাপন করেন। গত ৩০ বছর ধরে পরিবারসহ সেখানেই তিনি বসবাস করে আসছেন। মাহমুদা আরো জানান, এ বছরের ১১ জুন কারমাইকেল কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ পাঠানো হয়। ওই নোটিশের মাধ্যমে তাকে বসবাস করি জমি থেকে বাড়ি ঘর ও হোটেল অপসারণের জন্য বলা হয়। এরপর একাধিকবার কারমাইকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে জমির কাগজপত্র দেখানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে কারমাইকেল কলেজ প্রশাসনের কতিপয় অজ্ঞাত ব্যক্তি একটি স্কাবাটার মেশিন নিয়ে এসে তার খাবার হোটেল ভাঙচুর করেন। তিনি আরো জানান, ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি নিরুপায় হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করলে (মামলা নং : ৫৫১/২০২৩, তারিখ : ০২/১১/২০২৩) আদালত গত ২১ নভেম্বর কারমাইকেল কলেজ অধ্যক্ষকে অবহিতকরণ একটি নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশ প্রাপ্তির পর অধ্যক্ষ আরো বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং জোরপূর্বক ওই জমিতে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এ পরিস্থিতিতে পুনরায় বিজ্ঞ আদালতের সরণাপন্ন হলে গত ১ ডিসেম্বর কারমাইকেল কলেজ অধ্যক্ষ বরাবর নির্মাণ কাজ বন্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ৬ ডিসেম্বর সকালে কলেজ অধ্যক্ষের নির্দেশে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ওই জমিতে আবার নির্মাণকাজ শুরু করেন।