ভাঙ্গা সেতুতে হাজারো মানুষ ঝুঁকিতে
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রায় ১৭ মাস ধরে চলমান রয়েছে নতুন ব্রিজের কাজ। ব্রিজটি শহরের মধ্যে হওয়ার দরুন চিত্রা নদীর উপর একটি কাঠের বাইপাস সেতু নির্মাণ করে কর্তৃপক্ষ। সেই কাঠের সেতু দিয়ে প্রতিদিন এপর-ওপার করে কমপক্ষে ১৫-২০ হাজার মানুষ। সেই সেতুর একন দৈন্যদশা। কমপক্ষে ২০ জায়গায় ভেঙে গেছে। যে কোনো সময় পড়ে যেতে পারে সেতুটি। হতে পারে জানমালের বড় ধরনের ক্ষতি এমনই অভিযোগ করেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেলসহ হেঁটে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে। কালীগঞ্জ শহরের জনতা মোড় থেকে একটি বাইপাস রাস্তা কাঠের অস্থায়ী সেতুটি অপর প্রান্তে হাসপাতাল সড়কে যেয়ে মিশেছে। ব্রিজটি নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মৃতপ্রায় চিত্রা নদীর উপর অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে ছোট একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে দেয় চলাচলের জন্য। সেতুটির দুই প্রান্তে রাস্তায় খানা গর্ত ও অসমতল হওয়ায় চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনগণের। প্রায় ১৭ মাস ধরে ব্রিজের কাজ চললেও বাইপাস সড়ক ও সেতুজনিত জনদুর্ভোগ কমেনি একটুও। দুর্গাপূজার সময় নবনির্মিত ব্রিজের দুই প্রান্তের ফুটপাত অংশ চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলেও তা এখন বন্ধ রয়েছে। জানা যায়, চিত্রা নদীর উপর নির্মিত ব্রিজটির কাজ ২০২২ সালের জুলাই মাসে শুরু হলেও এখনো কাজ সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়নি। অস্থায়ী এই সড়ক ও সেতু দিয়ে প্রতিদিন পথচারী, বিদ্যালয় ও কলেজগামী শিক্ষার্থী, কালীগঞ্জ বাজারের ক্রেতাসাধারণ হেঁটে, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেলযোগে চলাচল করে থাকে। সেতু ব্যবহারকারী এক শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম জানান, ব্রিজটি সম্পূর্ণরূপে চালু হওয়ার আগে কাঠের এই সেতুটি পুনরায় নির্মাণ করার দাবি জানাচ্ছি। চিত্রা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকার কনসিক অ্যান্ড বিল্ড লিমিটেডের সাইট পরিচালক আরিফ হোসেন জানান, নির্মাণকাজ ৯০ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হয়ে গেছে এরইমধ্যে। কাঠের সেতুটি আগেও সংস্কার করা হয়েছে। আবারো সংস্কার করা হবে। কালিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ বলেন, ভেঙে যাওয়া কাঠের সেতুটি দ্রুত সংস্কারের জন্য আমি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বলেছি।