সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সেই যুবলীগ নেতা আসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কাজিপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, ওই যুবলীগ নেতার স্ত্রীর সাথে ভুক্তভোগী নারীর বান্ধবী সম্পর্ক ছিল। এ সুযোগে ওই নেতার বাড়িতে যাতায়াত ছিল তার। একপর্যায়ে নেতার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ প্রেমের সম্পর্কে প্রেমিক গত ৩০ এপ্রিল প্রেমিকাকে বাড়িতে ডেকে এনে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার দিন তার স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না এবং তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বিয়ের প্রলোভনে। পরবর্তীতে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন প্রেমিক। এমন ঘটনা নিয়ে ১৭ নভেম্বর প্রেমিকের বাড়িতে অনশন ও ফেসবুকে বিভিন্ন বক্তব্য প্রচার করেন প্রেমিকা। পরে কাজি অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক নারীর স্বাক্ষর নেন ওই প্রেমিক যুবলীগ নেতা। এদিকে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন ও ফেসবুকে বিচারও চায় ওই প্রেমিকা। এতে প্রতিকার না পেয়ে ভুক্তভোগী ওই প্রেমিকা বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে এবং তাকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নারী গত রোববার রাতে সংশ্লিষ্ট থানায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন এবং এ মামলা তদন্তও শুরু করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রাশেদ ইউসুফ জুয়েল বলেন, এ ঘটনা বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি। এরই মধ্যে ওই যুবলীগ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।