কুড়িগ্রামে গত দুই দিন ধরে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মাঝরাত থেকে ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চারদিক। সকালে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতের কারণে ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষ পরেছে বিপাকে। ঠান্ডার কারণে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। গতকাল কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মীরেরবাড়ী এলাকার কৃষক সমশের আলী ফুলকপি তুলছিলেন। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করি ঠান্ডা নামি গেল। কামলারা আইসে নাই। নিজে কাম করবের নাগছি। কাজ-কাম করতে আঙুল অসাড় হয়া যায়।’
সদরের হলোখানা ইউনিয়নের কৃষক আমজাদ আলী তার বোরো বীজতলা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত বীজতলা ভালোই আছে। যেহারে কুয়াশা আর বাতাস বইছে তাতে বীজতলার ক্ষতিও হতে পারে। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আতিকুর রহমান জানান, দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে মোট ৩৬৪ জন রোগী ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীও রয়েছে। এছাড়া ডায়ারিয়া আইসোলেশনে ৪৫ জন চিকিৎসা নিচ্ছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, শীত মোকাবিলায় ৪৫ হাজার কম্বল ইউনিয়ন পর্যায়ে উপবরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৫ হাজার শুকনো প্যাকেট ও ৭ লাখ টাকা প্রস্তুত রয়েছে।