বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় রবি ভিসি

সূর্যসন্তানদের আদর্শে তরুণদের উজ্জীবিত করা শিক্ষকের দায়িত্ব

প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে গতকাল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি ছিল। গতকাল সকালে রবির একাডেমিক ভবন-৩ এর শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রবির উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। রবি শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ছাত্রী নিবাসসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১ মিনিট নীরবতা পালনের পর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে রবির ভিসি ড. মোঃ শাহ্ আজম বলেন, এই হত্যাযজ্ঞ ১৯৭১-এর পূর্ব থেকেই শুরু হয়ে তা স্বাধীন বাংলাদেশেও অব্যাহত ছিল। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা, ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা- এ সবই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তথা পাকিস্তানিদের এ দেশীয় দোসরদের সুপরিকল্পিত কার্যক্রমের অংশ। তিনি বেদনার সঙ্গে বলেন, যাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ আমরা এখানে সমবেত হয়েছি, তাদের সম্বন্ধে তরুণ প্রজন্ম পরিপূর্ণ ধারণা রাখে না। তাই পঠন-পাঠনের মধ্যদিয়ে তরুণ প্রজন্মকে জাতির সূর্যসন্তানদের বীরত্বগাঁথা ও আদর্শে উজ্জীবিত করা শিক্ষকদের দায়িত্ব। আপনারা জাতির সূর্যসন্তানদের হত্যাকারীদের কখনো ক্ষমা করবেন না। তাদের বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন এবং শহীদদের উত্তরাধিকার রক্ষায় সচেষ্ট থাকবেন। আলোচনা সভায় রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, বাঙালি জাতিসত্তার জাগরণে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান অপরিসীম। আমরা তাদের অভাব অনুভব করি সবসময়। তাঁদের কাছে জারি চিরঋণী। সভায় আরো বক্তব্য দেন রবির ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ। আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।