ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাজধানীতে দুইজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

রাজধানীতে দুইজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

রাজধানীর সবুজবাগে পৃথক ঘটনায় দুইজনের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। তারা হচ্ছেন, জান্নাতুল ফেরদৌস মৌসুমি (৩২) ও মেজবা আলম মাহি ওয়াসি (২৬)। পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে তারা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাদের মরদেহ ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবির দেবনাথ জানিয়েছেন, আমরা সংবাদ পেয়ে মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে রাত দেড়টার দিকে গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌস মৌসুমির মরদেহ উদ্ধার করি। পরিবারের লোকজন পুলিশকে জানান, দক্ষিণগাঁও ৩ নম্বর রোডের ব্যাপারী গলির বড় বাড়ির পাশে তাদের বাসা। বাসায় গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মৌসুমির লাশ ঝুলছিল। পরিবারের লোকজন লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৌসুমির স্বামী জাহাঙ্গীর আলম একটি ওষুধ কোম্পানির এরিয়া সেলসম্যান হিসাবে কর্মরত। ৫ বছর আগে তারা প্রেম করে বিয়ে করেন। কোনো সন্তান হয়নি। সম্প্রতি মৌসুমির ভাই মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। স্বামীও অসুস্থ, লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত। তার পুরো শরীরে এক ধরনের গোটা ছড়িয়ে গেছে। এসব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন। অপরদিকে, গত বুধবার রাতে উত্তর বাসাবোয় মেজবা আলম মাহি ওয়াসির (২৬) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছেন সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আলী আহামদ। তিনি বলেন, বুধবার দিবাগত রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওয়াসি কয়েকবার গ্যাপ দিয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে বের হন। তিনি কাজ না পেয়ে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টাও করছিলেন। এর মধ্যে তার মা জিনাত রেহেনা রেনু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাবাও শারীরিকভাবে অসুস্থ। বুধবার বিকালে হাসপাতালে মায়ের কাছ থেকে বাসায় এসে রুম বন্ধ করে ছিলেন তিনি। রাতে তার বাবা রফিকুল আলম মো. ইলিয়াস ছেলেকে একাধিকবার ফোনে না পেয়ে বাসায় গিয়ে দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে আশপাশের স্বজনদের সহযোগিতা নিয়ে দরজা ভেঙে তাকে ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তারা নামিয়ে পুলিশে খবর দেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওয়াসি ছিলেন তার বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত