পঞ্চগড়ে সকালে রোদ উঠলেও কমেনি শীতের দাপট। গতকাল সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার ৩ ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর গতকাল সকাল ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। অঞ্চলটি হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের নিকটস্থ হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সামনে তাপমাত্রা আরো কমে আসবে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকালে হালকা কুয়াশা ভেদ করে জেগে উঠেছে সূর্য। তবে সূর্যের কিরণ ছড়ালেও অনুভূত হচ্ছে বরফগলা শীত। গ্রামীণ জনপদে নিম্ন আয়ের মানুষরা শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই সকাল থেকে কাজে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলের পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের। চা শ্রমিক ও পাথর শ্রমিকরা জানান, কুয়াশা নেই। তবে কনকনে শীত। ভোরে হিমণ্ডশীতের মধ্যেই আমরা চা বাগানে পাতা তুলি। এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। কিন্তু কী করব, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে। একই কথা নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া শ্রমিকদেরও। গ্রামীণ নারীরা জানান, কুয়াশা না থাকলেও খুব ঠান্ডা পড়ছে। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাবপত্র ও বিছানা পর্যন্ত বরফ হয়ে ওঠে। সকালে গৃহস্থালির কাজ করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে। এদিকে, ঠান্ডার কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। এ ছাড়া শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন সীমান্ত জেলার অনেক মানুষ। এ কারণে নিম্নবিত্তরা শহরের ফুটপাতের দোকান থেকে নিজেদের সাধ্যমতো কাপড় কিনে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।