মাদকের সঙ্গে পুলিশের কেউ সম্পৃক্ত থাকলে কঠোর শাস্তি
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল ব্যুরো
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) জিহাদুল কবির-বিপিএম (সেবা), পিপিএম বলেছেন, আমরা শৃঙ্খলা বাহিনী। আমাদের প্রত্যেক সদস্যকে চেইন অব কমান্ড মেনে চলতে হবে। সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। কোনো সদস্যের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ পরিলক্ষিত হলে, বিশেষ করে মাদকের সঙ্গে কারো কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বরিশাল নগরের রুপাতলীস্থ পুলিশ লাইন্স ড্রিল সেডে অনুষ্ঠিত বিশেষ কল্যাণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় পুলিশ কমিশনার অফিসার-ফোর্সদের সার্বিক কল্যাণ সাধন নিশ্চিতকল্পে আর্থিক সহায়তা, চিকিৎসা, ছুটি, বেতন-রেশন, ডাইনিং, ক্যান্টিনসহ সর্বক্ষেত্রে শতভাগ কল্যাণ সাধনের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। এছাড়াও তিনি সাইবার স্পেস ও অনলাইন প্লাটফর্মের অপরাধ সংক্রান্ত সবাইকে সচেতন থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহারের ক্ষেত্রে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা মেনে চলার নির্দেশ প্রদান করেন। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ফিন্যান্স) হাসান মো. শওকত আলী, উপ-পুলিশ কমিশনার (সিএসবি) মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার-পিপিএম (সেবা), উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ ও সাপ্লাই অ্যান্ড লজিস্টিকস) মো. আলী আশরাফ ভুঞা-বিপিএম (বার), উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম, অপারেশনস অ্যান্ড প্রসিকিউশন) খান মুহাম্মদ আবু নাসের, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক) রুনা লায়লা, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. ফজলুল করিমসহ বিএমপির অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে বিএমপি সদরদপ্তর সম্মেলন কক্ষে নবনিযুক্ত কমিশনার জিহাদুল কবির বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় বরিশাল মহানগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অফিসার-ফোর্সদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জিহাদুল কবির। এ সময় পুলিশ কমিশনার বরিশাল মহানগরীর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে, বরিশাল মহানগরীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি প্রো-অ্যাকটিভ পুলিশিংয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।