মাস্টারকার্ড ইকোনমিক্স ইনস্টিটিউটের (এমইআই) বার্ষিক অর্থনৈতিক অভিমত অনুসারে, আগামী বছর বিশ্বের ৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হবে।
২০২৪ সালে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে, যেখানে ভারতের প্রত্যাশিত বৃদ্ধি ৬.৪ শতাংশ- যা তালিকার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম ৬.২ শতাংশ। গত মঙ্গলবার এমইআই আগামী বছরের জন্য ‘অর্থনৈতিক আউটলুক : ভারসাম্য মূল্য ও অগ্রাধিকার’ প্রকাশ করেছে। তবে, এমইআইয়ের এ অনুমান ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম। ওই অর্থবছরে বাংলাদেশে সরকারের লক্ষ্য ৭.৫ শতাংশ।
এর আগে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ এবং বিশ্বব্যাংক ৫.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির অনুমান করেছিল। রাষ্ট্রীয় তথ্য অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৬.০৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এমইআই’র অভিমত অনুসারে, চতুর্থ সর্বোচ্চ হিসেবে ফিলিপাইনের জিডিপি ৫.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপরই স্থান পাবে ইন্দোনেশিয়ার জিডিপি। দেশটির জিডিপি ৫.১ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমান করা হয়েছে। এটি চীনের মূল ভূখণ্ডে ৪.৬ শতাংশ ও মালয়েশিয়ায় ৪.৫ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। এমইআই প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়ার জিডিপিতে সামান্য ঊর্ধ্বগতি দেখা যেতে পারে, অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া, চীনের মূল ভূখণ্ড, জাপান ও নিউজিল্যান্ডে জিডিপি’র গতি সামান্য হ্রাস পেতে পারে। ভারত এবং ইন্দোনেশিয়া ২০২৩-এর জিডিপিতেই স্থির থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।