আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গণতন্ত্রের অ্যাম্বাসেডর (দূত) উল্লেখ করে সংগঠনটির নেতাদের উদ্দেশ্যে দেয়া দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ছাত্রলীগ গণতন্ত্রের অ্যাম্বাসেডর, আইনের শাসনের অ্যাম্বাসেডর; জনগণের মালিকানার অ্যাম্বাসেডর। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হচ্ছেন সত্য ও ন্যায়ের অ্যাম্বাসেডর, সে কারণেই বাংলাদেশের মানুষকে আপনারা ভোটের বিষয়ে উৎসাহিত করবেন।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ছাত্রলীগ আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে সাদ্দাম এসব কথা বলেন।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করার লক্ষ্যে ছাত্রসমাজের শপথ বাস্তবায়ন করতে চায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সেই লক্ষ্যে গত শনিবার একটি বিশেষ বর্ধিত সভা করার ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে সাদ্দাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি কল্যাণধর্মী রাষ্ট্রের জন্য কাজ করছেন এবং সে কারণে আমরা সবাই নিয়মণ্ডকানুন মেনে চলব। ছাত্রলীগ সব সময় ফেয়ার প্লেয়ার। আমাদের ফাউল খেলার অভ্যাস নেই। আমাদের পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার অভ্যাস নেই। সামরিক ক্যু করে মধ্যরাতে ক্ষমতায় আসার অভ্যাস নেই। সে কারণে সবার প্রতি আহ্বান থাকবে, যাতে আমরা আচরণবিধি মেনে চলি। দেশের ও নির্বাচনের যে আইনকানুন রয়েছে, সেগুলো মেনে চলবেন। অতিউৎসাহী হয়ে কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড যাতে না করা হয়, সেজন্য নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন তিনি।
সাদ্দাম বলেন, শেখ হাসিনা ও জাতির পিতার নৌকা মার্কা সব সময়ই বিজয়ী হয়েছে। শত প্রতিকূল পরিস্থিতি আমরা মোকাবিলা করে এসেছি। আমরা বিশ্বাস করি ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে যে নির্বাচন রয়েছে- আমরা সবাই মিলে এক হয়ে বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া আমানত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারো নৌকা মার্কার ব্যালট বিপ্লব নিশ্চিত করব।
ছাত্রলীগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচন উপলক্ষ্যে ১০টি বিভাগীয় সমন্বয়ক টিম, ৭৯টি জেলাভিত্তিক সমন্বয়ক টিম গঠন করা হয়েছে। আসনভিত্তিক ৩০০টি টিম গঠনের কাজ শেষ হয়েছে যা আগামী ১৯ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হবে। সারাদেশে সর্বমোট ৪২ হাজার ১০৩টি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে ছাত্রলীগের ২০ জন সদস্যের সমন্বয়ে কেন্দ্রভিত্তিক টিম গঠন করেছে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম এ সংগঠনটি।
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, আগামী নির্বাচনটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেখেছি একটি দেশবিরোধী অপশক্তি সংসদীয় ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের যে জয়যাত্রা চলছে সেটিকে বাধা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা বাংলাদেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এই অপশক্তির সব ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে চলেছি। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে আছি।
আরো বক্তব্য দেন, ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পী, সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডু, কেন্দ্রীয় কমিটির ১নং সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকা বিনতে হোসাইন, ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ হীল বারী, ১নং সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান রাকিব প্রমুখ।