কিছুক্ষণের ব্যবধানে রাজধানীর উত্তরা, তেজগাঁও ও টঙ্গীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন- জোবায়ের আহামেদ সজল (৬০), মো. সজীব (২০) এবং অজ্ঞাত এক নারী। আব্দুল মান্নান নামে এক পথচারী জানান, কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত অবস্থায় তেজগাঁও রেলগেট কাঁচা বাজারের সামনে পড়ে ছিলেন জোবায়ের আহমেদ। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন মৃতের চাচাতো ভাই খালিদসহ স্বজনরা। তারা জানান, জোবায়ের একটি কাজে ঢাকায় এসেছিলেন। সাভারে তার মুদি দোকান রয়েছে। দুই ছেলের জনক ছিলেন তিনি। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘টঙ্গী রেলগেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় আহত হন এক নারী। তৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার বয়স আনুমানিক (৫৫) বছর। পথচারীরা উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’ তিনি বলেন, ‘মৃতদেহ দুটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি আমরা ঢাকা রেলওয়ে থানায় জানিয়েছি।’ এছাড়াও গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উত্তরা মধ্য আজমপুর এলাকায় মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইন পার হওয়ার সময় কমলাপুরগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মো. সজীব নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। বিমানবন্দর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) শ্রী সুনীল চন্দ্র সূত্রধর বলেন, ‘রাজধানীর দক্ষিণ খানের চালাবনের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সজীব। মৃতের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসার পর বিস্তারিত জানা যাবে।’