খাদ্য ও কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে জাতীয় পরিকল্পনায় জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদনের এক-তৃতীয়ংশই জলবায়ু সংকটে ঝুঁকির মুখে রয়েছে এবং একইভাবে খাদ্য ও কৃষিব্যবস্থা জলবায়ু পরিবর্তনে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। বন উজাড়, নগরায়ন, কৃষি জমিতে সারের ব্যবহারের ফলে বিশ্বে এক-পঞ্চমাংশেরও বেশি কার্বন নিঃসরণ হয়। বাংলাদেশ বিশ্বের সপ্তম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত যেটি আমাদের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগজনক। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিগত বছরগুলো থেকে বেশকিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে, যেমন ক্রমাগত তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অনিয়মিত বৃষ্টি, বন্যার প্রকোপ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, সাইক্লোনের মাত্রা ও তীব্রতা বৃদ্ধি, অকাল খরা ইত্যাদি। এছাড়াও উপকূলীয় অঞ্চলের একটি প্রধান সমস্যা হলো মাটি ও ভূগর্ভস্থ পানিতে অতিরিক্ত লবণাক্ততা। জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষের বিরূপ আচরণের প্রভাবে এই লবণাক্ততা প্রতিনিয়ত বেড়ে যাচ্ছে। ফলে সেখানে সুপেয় পানির অভাব, খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি, মানুষের বাস্তচ্যুতি, কর্মণ্ডসংস্থানের অভাব ইত্যাদি আরো প্রকট হচ্ছে। তাই এবারের বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে ১৩৪টি দেশের নেতারা এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক গবেষণা পরিচালক ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. এম আসাদুজ্জামান। এছাড়া এতে সম্মানীয় অতিথি ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ড. রেজাউল করিম, ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের পরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম খান, খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশন-এর নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী, চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম. জাকির হোসেন খান, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের রিসার্চ ফেলো ড. আজরীন করিম। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য ও সঞ্চালনা করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সমন্বয়কারী ও ওয়েব ফাউন্ডেশন-এর সুশাসন, অধিকার ও ন্যায্যতা কর্মসূচির উপ-পরিচালক কানিজ ফাতেমা। সভাপতির বক্তব্যে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে বাঁচতে আমাদের একা কাজ করলে হবে না, বিশ্বের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করে আমাদের কৃষি তথা অর্থনীতিকে স্থায়িত্বশীল করতে সরকারের সব মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করতে হবে। কৃষি, শিল্প, পশু, মাছ উৎপাদনের সঙ্গে বিশেষ করে পানি ও ভূমির সম্পৃক্ততা রয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে-এর বিপণন কীভাবে হবে এবং সবার হাতে খাদ্য পৌঁছে দিতে হলে একটি লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করতে হবে।