দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের আওতাধীন তিতাস ইকোনমিক জোনকে প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। গতকাল বুধবার বেজার কনফারেন্স কক্ষে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের হাতে এই লাইসেন্স তুলে দেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন। এ সময় মোস্তফা কামাল জোনটিতে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হবে বলে আশা করছেন। তিনি বলেন, ‘জোনটির সফল বাস্তবায়নের ফলে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রাথমিকভাবে এই জোনে বিভিন্ন ভারীশিল্প, পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি, পেপার ও বোর্ড, ফার্মাসিউটিক্যাল, তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য, পিভিসি, গার্মেন্টস, কেমিক্যাল, প্লাস্টিক পণ্য, প্যাকেজিং ও স্টিলসহ বৈচিত্র্যময় পণ্য প্রস্তুত করার পরিকল্পনা রয়েছে। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘আমাদের থেকে যারা সার্টিফিকেট পেয়েছে অনেকে ভালো করতে পারেনি। মেঘনা গ্রুপের ৩ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২২ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমরা প্রচুর দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারী পাচ্ছি।’ জানা গেছে, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে চালিভাঙ্গায় প্রায় ১৬১ একর এলাকাজুড়ে তিতাস ইকোনমিক জোনের অবস্থান, যা পরে ৪০০ একরে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রস্তাবিত ইকোনমিক জোনের উদ্যোক্তা মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রস্তাবিত জোনে বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদনের জন্য শিল্প স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলটিকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জোন হিসেবে গড়ে তুলতে পরিকল্পনা অনুযায়ী কারখানা ও প্রশাসনিক ভবন, পণ্যাগার, লজিস্টিক এলাকা, পানি ও বর্জ্য শোধনাগার তৈরি করা হবে। পরিবেশের ওপর যাতে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব না পড়ে, তার জন্য পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।