কক্সাবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি ও জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।
গত বুধবার চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, পেকুয়া উপজেলার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরীসহ ১৫ জন জনপ্রতিনিধি লিখিত এ অভিযোগ দেন।
অভিযোগে তারা বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের পক্ষে নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশ না নেয়া এবং নিজের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার কারণে জাফর তার সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে। এমনকি অপহরণ করে হত্যার পর লাশ গুম করার হুমকিও প্রদান করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা। যদি ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে হয় তবে অভিযোগ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।
অভিযোগকারীরা বলেন, অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করা নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ। যদি সন্ত্রাসীদের কাছে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা জিম্মি থাকতে হয় তবে সরকারের আসল উদ্দেশ্য ভেস্তে যাবে।
উল্লেখ্য, বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক গাড়ি প্রতীক নিয়ে কক্সবাজার-১ আসনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
অভিযোগে দুই উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র ছাড়াও স্বাক্ষর করেন, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম, জেলা পরিষদ সদস্য আবু তৈয়ব, সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক, কাকরা ইউপি চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন, বমুবিলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল কাদের, লক্ষ্যারচর ইউপি চেয়ারম্যান খ.ম আওরঙ্গজেব বুলেট, বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসাইন আরিফ, বিএম চর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ঢেমুশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন আহমেদ, রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বাবুল, মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরী এবং পেকুয়ার বারবাকিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বদিউল আলম।