পরিকল্পনাবিদ ও সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছয়টি স্থানকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এগুলো হলো- উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল, হাওর এবং আকস্মিক বন্যাপ্রবণ এলাকা, পার্বত্যাঞ্চল ও নগর এলাকা। অঞ্চলভেদে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য এবং এর সাধারণ ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।
গতকাল রাজধানী দারুস সালাম জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়নে’ গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী।
ড. শামসুল আলম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় শত বছরের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সরকার। ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ হচ্ছে ১০০ বছরে বাংলাদেশ কোন পর্যায়ে যাবে, সেই পরিকল্পনা। ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় বন্যা, নদীভাঙন, নদীশাসন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচনা করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন, পরিচালক এ, কে, এম আজিজুল হক, পরিচালক ড. মো. মারুফ নাওয়াজ, বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টাস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক এবং বাসসের সিনিয়র রিপোর্টার খায়রুজ্জামান কামাল। সেমিনারটির পরিচালক হিসেবে ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক নুসরাত জাবিন এবং সমন্বয়ক হিসেবে সহকারী পরিচালক সাইফুন্নাহার ও সহকারী গ্রন্থাগারিক কাজী ওমর খৈয়াম দায়িত্ব পালন করেন। সেমিনারে সরকারি-বেসরকারি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার ৬৫ জন গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।