মৎস্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক সৈয়দ আলমগীর

প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন সৈয়দ মো. আলমগীর। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গত ২৮ ডিসেম্বর যুগ্ম সচিব হেমায়েত হোসেনের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডারের কর্মকর্তা মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে (পরিকল্পনা ও জরিপ) পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে জারি করে এ আদেশ ৩০ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে তিনি মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (পরিকল্পনা ও জরিপ) এবং অভ্যন্তরীণ মৎস্য পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও ২০১৯ সালে মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে ব্যক্তি অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাত থেকে জাতীয় মৎস্য পুরস্কার স্বর্ণপদক পান। ২০২২-২৩ সালে মৎস্য অধিদপ্তরের জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন।

জানা গেছে, একাদশতম বিসিএস ফোরামের মৎস্য ক্যাডারের প্রথম স্থানের অধিকারী সৈয়দ মো. আলমগীর। তিনি ঢাকা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে ২০১৭ সালে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ দিবস উপলক্ষ্যে নির্বাচিত স্লোগান ‘মাছচাষে গড়বো দেশ, বদলে দেবে বাংলাদেশ’ এর রচয়িতা হিসেবে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু ফিশারিজ পরিষদের সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় পোনা অবমুক্তি কার্যক্রম বাস্তবায়নে ২০১৬ সাল থেকে গণভবনের লেক, বঙ্গভবন দিঘি, পুকুর এবং জাতীয় সংসদ ভবন লেকে পোনা অবমুক্তি কার্যক্রম ব্যবস্থাপনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। মৎস্য উৎপাদন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছেন। টুংগীপাড়া উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন পূবের বিলে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। এছাড়াও মা ইলিশ সংরক্ষণ, পুশযুক্ত চিংড়িসহ নিষিদ্ধ মাছ বিক্রি অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও ঢাকা হাজারীবাগ ট্যানারিসহ বিভিন্ন এলাকায় ট্যানারি বর্জ্যরে মাধ্যমে মৎস্য ও পশুখাদ্য তৈরির বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় র‌্যাব, কোস্ট গার্ড, পুলিশ ও নৌপুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে সফলভাবে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।

সৈয়দ মো. আলমগীর ১৯৯৫ সাল থেকে বিভাগীয় প্রশিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের ব্রাইটনে প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ঢাকা), উপ-পরিচালক (ঢাকা বিভাগ), মৎস্য অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক (প্রশাসন), মৎস্য অধিদপ্তরে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার (পরিকল্পনা ও জরিপ) দায়িত্ব পালন করেন।