ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এক মাসে রিজার্ভ বাড়ল ২ বিলিয়ন ডলার

এক মাসে রিজার্ভ বাড়ল ২ বিলিয়ন ডলার

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ কয়েকটি সহযোগী সংস্থার ঋণযুক্ত হওয়ায় এবং প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২১ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। যা মাসের শুরুতে নেমে গিয়েছিল ১৯ বিলিয়ন ডলারে। এক মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ বেড়েছে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি।

গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্তানুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ ২১ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। এক মাস আগে গত ২৯ নভেম্বর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী ছিল ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে এক মাসে রিজার্ভ বেড়েছে ২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার।

রিজার্ভ বাড়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জানান, আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি এসেছে। এছাড়া এডিবি থেকে ৪০০ মিলিয়ন, সাউথ কোরিয়ার একটা ফান্ড থেকে ৯০ মিলিয়নসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার দেওয়া অর্থ এ মাসে এসেছে। সঙ্গে রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক রয়েছে। সব মিলিয়ে রিজার্ভ ভালো অবস্থায় ফিরছে। রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ থেকে যে ডলার পাওয়া যায় তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তৈরি হয়। আবার আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশিকর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে যে ব্যয় হয়, তার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা চলে যায়। এভাবে আয় ও ব্যয়ের পর যে ডলার থেকে যায় সেটাই রিজার্ভে যোগ হয়। আর বেশি খরচ হলে রিজার্ভ কমে যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত