ঢাবির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে ট্রান্সজেন্ডার শব্দ অপসারণের দাবি
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাবি প্রতিনিধি
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে ‘বিতর্কিত’ ট্রান্সজেন্ডার শব্দের প্রত্যাহার করার মাধ্যমে চলমান বিতর্কের নিরসন করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অন্যথায় পড়ার টেবিল ছেড়ে রাজপথে নেমে আসা এবং দাবি আদায়ের পরই পড়ার টেবিলে ফিরে যাওয়ার কথা জানান তারা।
গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ১ জানুয়ারির মধ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটি প্রত্যাহার করে সংশোধিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার বরাবর অনুরোধ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া, আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান রাফি, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব আল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিধানে ট্রান্সজেন্ডার শব্দের আভিধানিক অর্থ ভিন্ন উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটি আমাদের দেশীয় শব্দ নয়। এমনকি বাংলা একাডেমির আধুনিক বাংলা অভিধানের কোথাও ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটির কোনো উল্লেখ নেই। তবে হিজড়া শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে হারমাফ্রোডাইট ও ইউনিকের উল্লেখ থাকলেও এগুলো ব্যতীত অন্য কোনো শব্দের উল্লেখ নেই।
এমতাবস্থায় একটি বিতর্কিত শব্দকে কেনো ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে যুক্ত করা হলো তা- আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা মনে করি ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে এই শব্দ সংযুক্তির মাধ্যমে দেশীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত করা হয়েছে। আমাদের দেশজ সংস্কৃতি রক্ষায় এই শব্দটি প্রত্যাহার করা অত্যন্ত জরুরি। তাছাড়া হিজড়া সম্প্রদায়কে বোঝাতে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটি ব্যবহার করলে হিজড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার খর্ব হওয়ার সমূহ-সম্ভাবনা রয়েছে। ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দের ব্যবহার হিজড়া ব্যতীত একটি ভিন্নগোষ্ঠীর জন্য সুযোগ তৈরি করে। যারা হিজড়াদের অধিকারকে ফসলের আগাছার ন্যায় ছিনিয়ে নিতে পারে। তাই আমরা চাই হিজড়া জনগোষ্ঠীদের প্রকৃত অধিকার রক্ষায় অবিলম্বে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে এই ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটি প্রত্যাহার করা হোক।