প্রেমিক এড়িয়ে চলায় অভিমান করে নিজের শরীরে আগুন দেওয়া কলেজছাত্রী মাশকুরা আক্তার মুমু (১৯) মারা গেছেন। গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মাশকুরা আক্তার মুমুর বাবা আবদুল মালেক তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে নিজের শরীরে আগুন দেয় কলেজছাত্রী মাশকুরা আক্তার মুমু। মাশকুরা আক্তার মুমু ফেনী ন্যাশনাল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি পরিবারের সঙ্গে শহরের পাঠান বাড়ি সড়কে থাকতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার সদর উপজেলার রামনগর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সামনে এক ফল ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুমুর। তাদের মধ্যে কিছুদিন ধরে টানাপড়েন চলছিল। গত সোমবার সকালে ওই এলাকায় যান মুমু। কিছুক্ষণ পর মাদ্রাসার পাশে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেদিন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ মাশকুরা আক্তার মুমু সাংবাদিকদের কাছে নিজের শরীরে নিজে আগুন দিয়েছেন বলে জানান। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী লক্ষ্মিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মহিমা রাণী পাল বলেন, সোমবার বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মিটিং চলাকালে একটি ফোন কল আসায় আমি বাইরে বের হই। ফোনে কথা বলা অবস্থায় স্কুল গেটের ভেতর ওই মেয়েকে (মুমু) ঘোরাঘুরি করতে দেখি। একপর্যায়ে গেটের ভেতরে বসা অবস্থায় তার শরীরের সামনের অংশে হঠাৎ আগুন জ্বলতে দেখি। তখন তিনি চিৎকার করে দৌড়ে ৬০-৭০ গজ সামনে স্কুলের টিউবওয়েলের কাছে এসে বসে পড়ে।