টেকনাফে স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুই কর্মীকে মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় নির্বাচনি প্রচারণার সময় নৌকা প্রতীকের কর্মীদের বিরুদ্ধে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা এবং প্রচার কাজে ব্যবহৃত দুইটি অটোরিকশা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনা স্বতন্ত্র প্রার্থী ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল বশরের দুইজন কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল দুপুর আড়াইটায় টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলেন, টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুলতান মাহমুদ ও টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ফারুক। তারা টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত দুইজনই কক্সবাজার ৪ আসনের ( উখিয়া-টেকনাফ ) ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল বশরের কর্মী ও সমর্থক। তিনি দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পাননি।
আহতদের বরাতে নুরুল বশর বলেন, দুপুরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া এলাকায় তার কয়েকজন প্রচার কর্মী ও সমর্থক অটোরিকশা যোগে প্রচারণার পাশাপাশি স্থানীয়দের মাঝে লিফলেট বিতরণ করছিলেন। এ সময় টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদ সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে নৌকা প্রতীকের একদল কর্মী তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারিরা এক পর্যায়ে ঈগল প্রতীকের প্রচার কাজে ব্যবহৃত দুইটি অটোরিকশা ভাঙচুর চালায়। পরে আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন বলে জানান নির্বাচনের এ স্বতন্ত্র প্রার্থী।
এ ব্যাপারে জাফর আলমের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘একটি সভায় খুব ব্যস্ত আছি। যা শুনেছেন তা পুরোটা সত্য না। পরে ফোন করে আপনার সঙ্গে আলাপ করব।
ঘটনার ব্যাপারে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, ঈগল স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনাটির মৌখিক অভিযোগ শোনার পরপরই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। কিন্তু পুলিশ পৌঁছার আগেই উভয়পক্ষ ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। এতে উভয়পক্ষের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। ঘটনার ব্যাপারে স্থানীয়দের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে হামলার ঘটনা ঘটেনি বলে জানা যায়। তবে বিবাদমান উভয়পক্ষের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তারপরও ঘটনার ব্যাপারে ভুক্তভোগী লোকজনের লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি। তিনি গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেন।