শীতকালীন ছুটি শেষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে রবি ক্যাম্পাস। গতকাল সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ ছুটি শেষে ক্লাস শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। রবির উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সাথে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ও লোগো মুদ্রিত ব্যাগ, প্যাড, কলম এবং রবির আইনের কপি শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে প্রদান করেন। রবির অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ বিকালে সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে ভিসির শুভেচ্ছা বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রবির ভিসি বলেন, রবি অষ্টম বছরে পদার্পণ করেছে। রবি অনেক সংকট কাটিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কাজকর্ম শুরু করেছে। খ্রিষ্টীয় নববর্ষে আমাদের নতুন করে প্রেরণা নিতে হবে। আমরা এবার আমাদের শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি করতে চাই। আমাদের যে মৌলিক সংকটগুলো ছিল তার স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে কিছুটা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। মহান স্বাধীনতা অর্জিত হওয়ার ৪৩ বছর পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা, বাঙালি জাতীয়তাবাদের লালন এবং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্মকে অম্লান করার জন্য একটি আধুনিক শিক্ষায়তন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। রবিতে গবেষণা ও শিক্ষার যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা দিয়ে যুগের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। বর্তমানে বাঙালি জাতীয়তাবাদের যে অভিলক্ষ্য তৈরি হয়েছে আমরা তার বিস্তারে কাজ করতে চাই। যাতে যে কোনো জাতীয় ও সামাজিক সংকটে রবি শিক্ষার পাশাপাশি জাতীয় দায়িত্ব পালনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার মাধ্যমে সামনের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নির্বাচিত হবে ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণ করবে। তিনি বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান একটি দেশ হিসেবে সামনের দিকে নিয়ে যাবেন ও নতুন প্রজন্ম সেই আলোয় আলোকিত হবে এটি আমাদের বিশ্বাস। বাংলাদেশের যত বঞ্চিত মানুষ আছে সেই তুলনায় আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছি কিংবা ব্যবস্থাপকীয় কাজ করছি তারা সুবিধাগত দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে আছি। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সংকট মোকাবিলায় সক্ষম জনগোষ্ঠী তৈরিতে রবি বিশেষ অবদান রাখবে।
