আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ
টাঙ্গাইলে ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি সম্পন্ন
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রঞ্জন কৃষ্ণ পণ্ডিত, টাঙ্গাইল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের আটটি আসনে ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। এরইমধ্যে জেলার এক হাজার ৫৬টি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটপেপার ছাড়া সব সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় কঠোর নিরাপত্তায় ভোটের দিন ভোরে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালটপেপার পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গতকাল সকাল ৮টায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ হয়েছে। জেলার ১২০টি ইউনিয়ন, ১১টি পৌরসভা ও একটি ক্যান্টনমেণ্ট বোর্ডের ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭২ জন ভোটার কেন্দ্রে উপস্থিত করতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা পাড়ায়-মহল্লায় উদ্বুদ্ধ কার্যক্রম চালাচ্ছে। সরেজমিন জেলার আটটি আসনের বিভিন্ন বয়সি নানা শ্রেণি-পেশার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়ে অনেকেই কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তবে হালনাগাদ তালিকার এক লাখ ৭৭ হাজারের বেশি নতুন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে উন্মুখ হয়ে রয়েছে। ভোটাররা প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও তারা এরইমধ্যে পছন্দের প্রার্থী বেছে নিয়েছেন। জেলায় বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর ভোট বর্জনের কর্মসূচি চলমান থাকলেও তার বিশেষ কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে তাদের (বিএনপি ও সমমনা) নেতা ও কিছু সংখ্যক কর্মী ভোটকেন্দ্রে যাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবারের নির্বাচন অনেকটা ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মতো। নির্বাচন বর্জনে একটি বড় দলসহ তাদের মিত্ররা আন্দোলন করছে। সেজন্য তাদের সমর্থিতরা কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবেন না। তারপরও জেলায় এ নির্বাচনে ৪০ থেকে ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে পারেন। তারা মনে করেন, জেলার আটটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছয়টি আসনে নৌকা পেয়েও পরাজয়ের আশঙ্কায় রয়েছেন। আসনগুলো হচ্ছে- টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর), টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল), টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী), টাঙ্গাইল-৫ (সদর), টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) ও টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর)। এসব আসনের মধ্যে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) ও টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে নৌকার প্রার্থীরা কিছুটা সুবিধায় থাকলেও অন্যরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর দাপটে এক প্রকার কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। তবে শেষ হাসি কে হাসবেন তা জানতে আর মাত্র একদিন অপেক্ষা করতে হবে।
জেলার আটটি আসন সরেজমিন পর্যবেক্ষণে জানা গেছে, টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক। এ আসনে শক্ত কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় তিনি অনায়াসে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ আসনের অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হচ্ছেন- বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আনোয়ারুল হক (ট্রাকগাড়ি), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ফারুক আহাম্মেদ (গামছা) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ আলী (লাঙ্গল)। দুইটি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার চার লাখ ১২ হাজার ৪২৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ দুই লাখ চার হাজার ৮৮ জন, মহিলা দুই লাখ ৮ হাজার ৪৩৫ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার একজন।
টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে নৌকার প্রার্থী তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি। তাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পদত্যাগকারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদার। ভোটের হিসাবে একই দলের এ দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ আসনের অন্য প্রার্থীরা হচ্ছেন- গণফ্রন্টের গোলাম সরোয়ার (মাছ), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ রেজাউল করিম (ডাব), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম (আম) ও জাতীয় পার্টির মো. হুমায়ুন কবীর তালুকদার (লাঙ্গল)। দুইটি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৯৫ হাজার ২৪৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯৮ হাজার ৯০২ জন, মহিলা এক লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৫ এবং তৃতীয় লিঙ্গের একজন ভোটার রয়েছে।
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। একজন ভালো মানুষ হিসেবে এলাকায় তার সুখ্যাতি রয়েছে। তার শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সংসদ সদস্য ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান খান রানা। টাঙ্গাইল শহরের কথিত ‘খান পরিবার’-এর বড় ছেলে তিনি। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যাকাণ্ডের মামলায় প্রায় তিন বছর কারাগারে ছিলেন তিনি। এ আসনে অন্য প্রার্থীরা হচ্ছেন- জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল হালিম (লাঙ্গল), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মো. জাকির হোসেন (নোঙ্গর), বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের (এমএল) মো. সাখাওয়াত খান সৈকত (চাকা) ও ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির মো. হাসান আল মামুন সোহাগ (আম)। এ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৫৯ হাজার ৩৭৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ এক লাখ ৮০ হাজার ৪৯০ জন ও মহিলা এক লাখ ৭৮ হাজার ৮৮১ জন এবং দুইজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে ট্রাকগাড়ি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য ও পাঁচবারের এমপি আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এখানে লতিফ সিদ্দিকীর প্রধান প্রতিপক্ষ তারই রাজনৈতিক সহযোদ্ধা কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নৌকার প্রার্থী মোজহারুল ইসলাম তালুকদার। আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী হেভিওয়েট প্রার্থী লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় নৌকার প্রার্থী কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। এ আসনের অন্য প্রার্থীরা হচ্ছেন- প্রয়াত শাজাহান সিরাজের মেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সারওয়াত সিরাজ শুক্লা (ঈগল), জাকের পার্টির মোন্তাজ আলী (গোলাপ ফুল), জাতীয় পার্টির মো. লিয়াকত আলী (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির মো. শহিদুল ইসলাম (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. শুকুর মামুদ (একতারা) ও জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী সাদেক সিদ্দিকী (বাইসাইকেল)। দুইটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৫৪ হাজার ৫৫৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ এক লাখ ৭৮ হাজার ৮৯২ জন ও মহিলা এক লাখ ৭৫ হাজার ৬৬২ জন এবং দুইজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে দুইবারের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ছানোয়ার হোসেন দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট মামুন অর রশিদ মামুন। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তমের ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকী এ আসনে মাথাল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী প্রকাশ্যে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এখানে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার আভাস পাওয়া গেলেও নৌকার প্রার্থী অনেকটা বেকায়দায় পড়েছেন। এ আসনে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হচ্ছেন- বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আহসান হাবিব (কেটলি), প্রতীক পাওয়ার পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে নৌকাকে সমর্থন দেওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জামিলুর রহমান মিরন (ট্রাক), জাতীয় পার্টির মো. মোজাম্মেল হক (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির মো. শরিফুজ্জামান খান (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মো. তৌহিদুর রহমান চাকলাদার (নোঙ্গর) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. হাসরত খান ভাসানী (একতারা)। জেলা সদরের এ আসনে মোট ভোটার চার লাখ ৩৪ হাজার ১৯৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ দুই লাখ ১৭ হাজার ৪৭২ জন ও মহিলা দুই লাখ ১৬ হাজার ৭২২ জন ভোটার রয়েছেন।
টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও বর্তমান সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এ আসনে তার শক্তিশালী কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই। ফলে তিনি অনেকটা নির্ভার রয়েছেন। এ আসনের অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হচ্ছেন- জেলা আওয়ামী লীগের নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী তারেক শামস্ খান হিমু (ঈগল), স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম (ট্রাকগাড়ি), জাতীয় পার্টির ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম (লাঙ্গল), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আব্দুল করিম (একতারা), বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ (নোঙ্গর) ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (ফুলের মালা)। নাগরপুর ও দেলদুয়ার এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনের মোট ভোটার চার লাখ ৪২ হাজার ৪২৬জন। এরমধ্যে পুরুষ দুই লাখ ২৩ হাজার ১৭১জন ও মহিলা দুই লাখ ১৯ হাজার ২৫০জন এবং পাঁচজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে সাত বারের এমপি একাব্বর হোসেনের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান আহমেদ শুভ। এবারও তিনি নৌকা প্রতীকে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে এখানে আওয়ামীলীগের প্রবীণ নেতা মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের পদত্যাগকারী চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু ট্রাকগাড়ি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশি ও উপজেলা এবং পৌর আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী তার পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া এ আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল ইসলাম জহির তাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ফলে ট্রাকগাড়ির স্বতন্ত্র প্রার্থী নৌকা প্রতীকের জন্য এক প্রকার হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীরা হচ্ছেন- বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির গোলাম নওজব চৌধুরী (হাতুড়ি), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মো. আরমান হোসেন তালুকদার (গামছা), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের মো. মঞ্জুর রহমান মজনু (মশাল), জাকের পার্টির মো. মোক্তার হোসেন (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির রুপা রায় চৌধুরী (ডাব) ও নির্বাচনে ট্রাকগাড়ি প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ানো জাতীয় পার্টির মো. জহিরুল ইসলাম জহির (লাঙ্গল)। এ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৫৮ হাজার ৪৩২ জন। এরমধ্যে পুরুষ এক লাখ ৮০ হাজার ২০৬ জন ও মহিলা এক লাখ ৭৮ হাজার ২২০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ছয়জন।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম গামছা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন সাবেক এমপি অনুপম শাজাহান জয়। প্রথমদিকে অনুপম শাজাহান জয়ের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও পরে তার জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। বহুল আলোচিত আটিয়া বন অধ্যাদেশ বাতিলে ভূমিকা নেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তমের গামছা প্রতীকের জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। বঙ্গবীরের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকার মধ্য দিয়ে নির্বাচনি প্রচারণা শেষ হয়। এ আসনে বঙ্গবীরের গামছা ও অনুপম শাজাহান জয়ের নৌকার মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ আসনের অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হচ্ছেন- তৃণমূল বিএনপির পারুল আক্তার (সোনলী আঁশ), বিকল্পধারা বাংলাদেশের মো. আবুল হাশেম (কুলা), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মো. মোস্তফা কামাল (ডাব) ও জাতীয় পার্টির মো. রেজাউল করিম (লাঙ্গল)। বাসাইল ও সখীপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ১০ হাজার ১১৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ এক লাখ ১৪ হাজার ৮২জন ও মহিলা এক লাখ ৯৬ হাজার ৩৪জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের তিনজন ভোটার রয়েছেন।
প্রকাশ, টাঙ্গাইলের আটটি সংসদীয় আসনে ১২টি উপজেলার ১১টি পৌরসভা ও ১২০টি ইউনিয়ন এবং একটি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের এক হাজার ৫৬টি কেন্দ্রের ৬ হাজার ৮১০টি কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। জেলার মোট ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭২ জন ব্যক্তি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬০৩ জন ও মহিলা ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯ জন এবং ২০ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।