দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়ের দুটি আসনে ১০ প্রার্থীর জামানত হারালেন সাত প্রার্থী। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও তাদের দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যতিরেকে অন্য সব প্রার্থীরা হারিয়েছেন জামানত। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার তথ্যানুসারে, পঞ্চগড়-১ আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার সাদাত সম্রাট ছাড়া চার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তারা হচ্ছে বিএসপির আব্দুল ওয়াদুদ বাদশা একতারা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৩৭১ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মশিউর রহমান বাবুল আম প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩৯৯ ভোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির সিরাজুল ইসলাম টেলিভিশন প্রতীকে নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৪৮১ ভোট ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আব্দুল মজিদ ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৭৪৩ ভোট।
এসকল প্রার্থীরা ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় জামানত হারান। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৩ জন। মোট বৈধ ভোট পড়েছে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৪৬টি। ভোট বাতিল হয়েছে ৫ হাজার ৬৩৩টি। ভোট প্রদানের হার ৪৪ দশমিক ০৮ শতাংশ। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূইয়া মুক্তা নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২১০ ভোট। অপরদিকে পঞ্চগড়-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেলপথ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নুরুল ইসলাম সুজন নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৮১ হাজার ৭২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লুৎফর রহমান রিপন লাঙল প্রতীকে ৭ হাজার ৬২৭ ভোট পেয়েও হারিয়েছেন জামানত হারান। অপর প্রার্থীদের তৃণমূল বিএনপির আব্দুল আজিজ সোনালী আঁশ প্রতীকে ৪ হাজার ৪২০ ভোট ও বিএসপির আহমাদ রেজা ফারুকী একতারা প্রতীকে ৪ হাজার ৪৭০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৯৪১ জন। মোট বৈধ ভোট পড়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ২৪০টি। ভোট বাতিল হয়েছে ৯ হাজার ১০টি। ভোট প্রদানের হাড় ৫৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, বিধি মোতাবেক প্রদত্ত ভোটের আটভাগের এক ভাগ বা সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সে অনুযায়ী প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।