দিনাজপুরে এক লাখ ৭৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দিনাজপুর, জেলার ১৩টি উপজেলায় চলতি বছর একলাখ ৭৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উফশী একলাখ ১৭ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে এবং হাইব্রিড ৫৯ হাজার হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইরি বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে চাল উৎপাদন হবে প্রায় সাত লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। দিনাজপুর জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান জানান, এবারে জেলার ১৩টি উপজেলার ১০৩টি ইউনিয়নে ইরি-বোরো ধানের উৎপাদন সফল করতে কৃষি বিভাগ নানামুখী কার্যক্রম শুরু করেছে। জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে জেলায় ইরি বোরো ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু হবে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলা ভালো হওয়ার কারণে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিনাজপুর কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবারে জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৭ হাজার ৭৮৮ হেক্টর, বীরগঞ্জে ১৪ হাজার ৯৫৫ হেক্টর, কাহারোলে পাঁচহাজার ৭৫৮ হেক্টর, খানসামায় চারহাজার ৫৬৫ হেক্টর, চিরিরবন্দরে ১৮ হাজার ৭০৪ হেক্টর, বোচাগঞ্জে ৯ হাজার ২৫৫ হেক্টর, বিরল উপজেলায় ১৩ হাজার ৩৬৪ হেক্টর, পার্বতীপুরে ২৪ হাজার ৩৫০ হেক্টর, ফুলবাড়ীতে ১৪ হাজার ৫৮৫ হেক্টর, নবাবগঞ্জে একহাজার ৮৮০ হেক্টর, বিরামপুরে একহাজার ৬৪০ হেক্টর, হাকিমপুরে সাতহাজার ৫০০ হেক্টর এবং ঘোড়াঘাটে ৯ হাজার ৯৩৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলার ১৩টি উপজেলার ১০৩টি ইউনিয়নে দিনাজপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) সাব-ডিলার ১৭২ জন এবং বিসি আই সি ডিলার ১৩৩ জনসহ মোট ৩০৪ ডিলার সার বিক্রি করবেন। দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানান, জেলার প্রত্যেকটি উপজেলায় কৃষকের ইরি বোরো চারা রোপনে বৈদ্যতিক সেচযন্ত্র ব্যবহারে নিরাবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে জেলায় অবস্থিত দুটি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অবহিত করা হয়েছে।
