সাংবাদিকদের সঙ্গে চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের নেতাদের সঙ্গে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকালে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করে জেলা পুলিশ। এতে সভাপতিত্ব করেন এসপি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। সভায় পুলিশ সুপার বক্তব্যের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কাছ থেকে জেলার বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য জানেন এবং জেলার বর্তমান চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধানে জেলা পুলিশের উদ্যোগের বিষয় অবগত করেন। তিনি বক্তব্য বলেন, আমাদের ও জনমানুষের কথা আপনাদের মাধ্যমে তুলে ধরতে চাই এবং এসব তথ্য কীভাবে পাঠকের কাছে গুরুত্ব পাবে সে বিষয়ে আমি আপনাদের মতামত প্রত্যাশা করছি। আপনাদের বক্তব্যে মাদক, কিশোরগ্যাংসহ যেসব বিষয়গুলো বলেছেন, সেগুলো আমাদের জেলা পুলিশের যে উদ্যোগ সেগুলো রেখেছি। আর এ সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, অধিকতর নিরাপদ ও বাসযোগ্য চাঁদপুর গড়তে দ্রুত ও কার্যকরি পুলিশি সেবা নিশ্চিত করছি। সে লক্ষ্যে জেলা পুলিশের প্রতিটি থানা, ফাঁড়ি ও ইউনিটকে দ্রুত কার্যকর সেবা নিশ্চিতের জন্য কুইক রেসপন্স অ্যান্ড রিপোর্টিং (কিউআরআর) চালু করা হয়েছে। এর ফলে অভিযোগ প্রাপ্তির পর দ্রুততম সময়ে (গড়ে ১ ঘণ্টারও কম সময়ে) সেবা প্রদান করা হচ্ছে। আগামীতে কিউআরআর-এর মাধ্যমে গড় সাড়াদান সময় আরো কমানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এসপি বলেন, প্রবাসীদের সহায়তার জন্য পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ‘প্রবাসী হেল্প ডেস্ক’ চালু করা হয়েছে। প্রবাসে থেকেও যাতে চাঁদপুর জেলায় পরিবার, জায়গাজমিসহ বিভিন্ন সমস্যায় তাৎক্ষণিক সহায়তা নিতে পারে তার জন্য সার্বক্ষণিক একজন অফিসার ও একটি প্রবাসী হেল্প ডেস্ক হটলাইন নাম্বার বরাদ্দ করা হয়েছে। সাইফুল ইসলাম বলেন, একই সঙ্গে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব থানার পাশাপাশি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ‘নারী ও শিশু সহায়তা কেন্দ্র’ রাখা হয়েছে এবং দক্ষ নারী অফিসারের মাধ্যমে এ সেবাটি প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া চাঁদপুর জেলা পুলিশের সার্বক্ষণিক সেবা পেতে হটলাইন নম্বর ‘+৮৮০১৩২০১১৬৮৯৮’ এর মাধ্যমে সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে পুলিশ সুপার বলেন, চাঁদপুরের সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশের নিবিড় সম্পর্ক। আমরা বলে থাকি পুলিশ হচ্ছে জনগণের বন্ধু। আর পুলিশের বন্ধু হচ্ছে সাংবাদিক। সাংবাদিকদের কাছ থেকে অনেক তথ্য জানাযায় এবং জেনে সেসব বিষয়ে কাজ করা যায়। সুতরাং ভবিষ্যতে আমাদের এই সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। কারো ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে যেন আমাদের সম্পর্ক নষ্ট না হয়, সেজন্য আমরা সবাই সতর্ক থাকব।