ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রবি ভিসি

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশে প্রত্যাবর্তনে জাতি স্বাধীনতার পূর্ণ আস্বাদ লাভ করে

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশে প্রত্যাবর্তনে জাতি স্বাধীনতার পূর্ণ আস্বাদ লাভ করে

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। এ দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল সকালে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন রবির উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম ও রবির শিক্ষক সমিতি। এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। রবির ভিসি বলেন, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু একে অন্যের পরিপূরক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানি শাসকচক্র ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হত্যার চেষ্টা করে। জেলখানায় তার কক্ষের পাশে তার জন্য কবর খোঁড়া হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ব জনমতের চাপের কারণে পাকিস্তানের সে নীলনকশা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা লাভ করে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, কারণ এ দিনেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এ দিন তাই বাঙালি জাতির জন্য মহানন্দের দিন। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সেইসাথে তিনি ১৫ আগস্টের সকল শহীদ ও জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু যে মানসিক দৃঢ়তা ও অসীম সাহস দেখিয়েছিলেন, তার জন্য পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধে বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের অসামান্য ভূমিকা স্মরণ করে তৎকালীন ভারত সরকার ও তার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর অবদানকে বিশেষ শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার কৃতিত্ব দেওয়ার মধ্যদিয়ে তার সমগ্র জীবনব্যাপী যে সংগ্রাম তার কৃতিত্বই বাঙালি জাতিকে অর্পণ করেছেন। রবির ভিসি স্বাধীনতা সংগ্রামকে প্রথম বিপ্লব ও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও তার সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামকে দ্বিতীয় বিপ্লব হিসেবে উল্লেখ করেন। ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গের নির্মম হহত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে যে কালো অধ্যায় শুরু হয়েছিল তা থেকে উত্তরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি। দ্বাদশ সংসদ সদস্য নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়কে নববিপ্লব হিসেবে চিহ্নিত করেন শাহ্ আজম। এ আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে রবির ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো: ফখরুল ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানভীর আহমেদ, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত